দিনাজপুরের পাইকারি বাজারে কাঁচমরিচের কেজি ১০ টাকা

জেলার বিরামপুর  উপজেলার পুরাতন বাজারে পাইকারিতে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ।  খুচরা ব্যবসায়ীরা ওই মরিচ ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে।
আজ সোমবার বিকেলে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার পাইকারি বাজারে কৃষকদের নিয়ে আসা কাঁচামরিচ ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। বিরামপুর উপজেলার দেওগ্রামের কৃষক মো. ফরিদুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিরামপুর পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আক্কাস আলী জানান, চলতি বছর রবি মৌসুমে এই  উপজেলায় উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় পাইকারিতে ১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। কৃষকেরা বলছেন এবারে মরিচের উৎপাদন বেশি এবং সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমে গেছে। তবে মৌসুমের শুরুতে এই মরিচ ১০০ টাকা দরে বিক্রি করেছিলেন তারা । সব মিলিয়ে মরিচ উৎপাদন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তারা।
সোমবার বিকেলে বিরামপুর পৌর শহরের নতুনবাজার এলাকায় সবজির পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত হাইব্রিড জাতের (অনল-১৭০১ ও বিন্দু) যে কাঁচা মরিচ ১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর দাম আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ বিকেলে  ৪ টায়  পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ১০ থেকে ১২ টাকা কেজি দরে।
গতকাল রোববার বিরামপুরের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল। বাজারে আসা অধিকাংশ মরিচই উপজেলার স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে কেনা বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। গত দুই দিন ধরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ থেকে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ আসছে। যে কারণে দামে ভাটা পড়েছে বলে উল্লেখ করেন ব্যবসায়ীরা।
বিরামপুর নতুনবাজারে কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ী হরিবন্ধু  বলেন, ‘এবার কৃষকদের জমিতে মরিচের উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়েছে। এ জন্য গতকাল (রোববার) সকাল থেকে বিরামপুরের পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ বেড়েছে। রমজান মাসে কাঁচা মরিচের ক্রেতা কম। আবার বাজারেও কাঁচা মরিচের আমদানি বেশি। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ৫০ টাকা পাল্লা (৫ কেজি) দরে বিক্রি করেছি। যেভাবে সরবরাহ বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে, কাঁচা মরিচের দাম আরো কমে যাবে।’ (বাসস)