দুর্নীতির মামলায় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া খালাস

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দেয়া দুর্নীতির মামলায় ১৩ বছরের দন্ডের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার আপিল মঞ্জুর করে তাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ সোমবার এ রায় দেয়।

এর আগে আপিলের ওপর ১৪ আগস্ট পুনঃশুনানি শেষে হাইকোর্ট বিষয়টি রায়ের জন্য ধার্য রাখে।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার, ড. বশির আহমেদ ও সাঈদ আহমেদ রাজা। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল রোনা নাহরীন ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

মায়ার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা সাংবাদিকদের জানান, আদালত তার আপিল মঞ্জুর করেছেন। ফলে তিনি খালাস পেয়েছেন।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার আপিল মঞ্জুর করেছেন, ফলে তিনি ১৩ বছরের দন্ড থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৩ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারি পরিচালক নুরুল আলম সূত্রাপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বিচার শেষে ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে ১৩ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়ে রায় দেয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে এর আগেও আপিলের পর ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর ১৩ বছরের কারাদন্ড বাতিল করে রায় দিয়েছিলো হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের পর ২০১৫ সালের ১৪ জুন মায়াকে হাইকোর্টে দেয়া খালাসের রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে নতুন করে আপিল শুনানির নির্দেশও দেয়া হয়। সে অনুসারে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির পর আজ রায় দেয়া হয়।

আজকের বাজার/এমএইচ