দুর্নীতি-অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিক দুই মেয়াদে দেশে দুর্নীতি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। সুশাসন নিশ্চিত ও দুর্নীতি হ্রাসের লক্ষ্যে আধুনিক অডিট ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। দুর্নীতি ও অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না।

বুধবার ৩১ জানুয়ারি কাকরাইলে আন্তর্জাতিক সুপ্রিম অডিট ইন্সটিটিউটের সম্প্রসারিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন এখন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের এমপি-মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা কখনওই দেশের উন্নতি করতে পারে না। কারণ তারা ক্ষমতা ধরে রাখতেই ব্যস্ত থাকে। বিটিআরসির হিসেবে বাংলাদেশে ৮ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করে। জনগণের অর্থ সাশ্রয় ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস ডিপার্টমেন্টকে আরও দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯১ সালে দারিদ্র্যের হার ছিল ৫৬.৭ শতাংশ। ৯৬ সালে আমরা এসে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেই। ফলে দরিদ্রতা হ্রাস পেয়েছে।

রেমিটেন্স বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গতবছর ১০ লাখ মানুষ বিদেশে পাঠানো গেছে। তারা আমাদের টাকা পাঠায়। দেশের ভেতর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পয়েছে। রেমিটেন্স ১৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। মানুষের আয় বেড়েছে, বিদ্যুতের ব্যবহারও বেড়েছে। গ্রামেও বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। একটা ফ্যান বা লাইট জ্বলবে ভেবে যে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছিল সেটি আর সেখানে সীমাবদ্ধ নেই। আমাদের খানা ভিত্তিক জরিপ হচ্ছে। এটা হলেই প্রকৃত হিসাব জানতে পারবো। গ্রামের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হবে সেটাই লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা উন্নয়নশীল দেশ। জিডিপির ভিত্তিতে ৪৪তম এবং ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতে ৩২তম জায়গায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ।

উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে অডিট কার্যক্রমের পাশাপাশি আর্থিক অপচয় অনিয়ম হ্রাস পাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

আজকের বাজার:এলকে/ ৩১ জানুয়ারি ২০১৮