`দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন’

সরকারের দুর্নীতি যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্যই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করতে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

মঙ্গলবার  ৩০জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী আরও বলেন, এ অনুমোদন পাওয়া আইনের খসড়ায় কম্পিউটার বা ডিজিটাল গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ সংক্রান্ত ৩২ ধারায় সাংবাদিকরা হয়রানির শিকার হবেন।

তিনি বলেন,আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারা বিলুপ্ত করা হলেও প্রস্তাবিত আইনের ৩২ ধারা হয়রানিমূলক। এ ধারার আওতায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে নতুন করে নিপীড়ন ও হয়রানির শিকার হতে পারেন। এ আইনে বাকস্বাধীনতাকে অপরাধে পরিণত করা হয়েছে। গণতন্ত্রকামীরাই ক্রিমিনাল হিসেবে অভিহিত হবে। ফিরে যাওয়া হবে মধ্যযুগের অন্ধকারে। এ সম্পর্কে কোনো রিরূপ মন্তব্য করা যাবে না, প্রশ্ন করা যাবে না, সমালোচনা করলে সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড হবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, বহুল আলোচিত নিপীড়নমূলক আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারাসহ ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে গতকাল ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’র খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।

যা আরও একটি কালো আইন হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এ আইনটি পাস হলে মানুষের বাকস্বাধীনতা বলে কিছুই থাকবে না। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বলেও কিছু থাকবে না।

এই আইনকে মধ্যযুগীয় অমানবিক মানবতাবিরোধী আইন উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণনয়নের উদ্যেগের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রুহুল কবির রিজভী।

আজকের বাজার:এসএস/৩০জানুয়ারি ২০১৮