দেশের প্রধান নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে

ফাইল ছবি

দেশের সকল প্রধান নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আজ এ তথ্য জানিয়েছে।
আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ৯৩টি পানি সমতল স্টেশনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ৭২টি স্টেশনে নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস পেয়েছে। ১৮টি স্টেশনে বৃদ্ধি পেয়েছে, ১০টি স্টেশনে নদ-নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং ৩টি স্টেশনের পানি সমতল অপরিবর্তিত রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, সুরমা, কুশিয়ারা, তিতাস, মেঘনা, যমুনা, গৌর, আত্রাই ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ১০টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, কুশিয়ারা নদী অমলশীদ পয়েন্টে ২০ সেন্টিমিটার, শেওলা পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার ও শেরপুর-সিলেট পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, তিতাস নদী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার, ধলেশ্বরী নদী এলাশিয়া পয়েন্টে ১৮ সেন্টিমিটার, সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে ১৫ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদী চাঁদপুর পয়েন্টে ১৪ সেন্টিমিটার, গৌরনদী সিংড়া পয়েন্ট ১২ সেন্টিমিটার, আত্রাই নদী বাঘাবাড়ি পয়েন্ট ০২ সেন্টিমিটার এবং যমুনা নদীর পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ০১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গতকাল সকাল ৯টা থেকে গত ২৪ ঘন্টায় টেকনাফে ৪৮ মিলিমিটার ও কমলগঞ্জে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যা পূনর্বাসনে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে জেলা পর্যায়ে মেডিকেল টিম এবং জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করা হচ্ছে।