দেশে কোটিপতির সংখ্যা ৬৯ হাজার

১৯৭২ সালে স্বাধীন দেশে যেখানে মাত্র ৫ জন কোটিপতি ছিলেন সেখানে দেশে বর্তমানে ৬৮ হাজার ৮৯১ জন কোটিপতি রয়েছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

গত ৪৫ বছরে কোটিপতির সংখ্যা কয়েক হাজারগুণ বাড়লেও ২০১৬ সালের জুন মাস থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়েছে ৬ হাজার ৪৭৩ জন।

২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত হিসাবে দেখা দেখে ওই সময় পর্যন্ত দেশে মোট কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৬২ কোটি ৪১৮ জন। আর ১ বছরের ব্যবধানে ২০১৭ সালের জুন মাসে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৮ হাজার ৮৯১ জনে।

গত বুধবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের প্রথম ৬ মাসে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কোটিপতিদের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ৯৪টি।

কোটিপতি বাড়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর ইব্রাহীম খালেদ ঢাকা ট্রিবিউন নামের একটি দৈনিককে বলেন, কোটিপতির সংখ্যা ও ব্যাংকে তাদের হিসাব সংখ্যা এটাই নির্দেশ করে যে ধনীরাই দেশের ব্যাংকের বেশিরভাগ আমানতের যোগান দেয়।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের কল্যাণমুখী অর্থনীতি যে পুঁজিবাদী অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কোটিপতি বাড়ার ঘটনা আমাদের সেই ইঙ্গিতই দেয়।

তিনি বলেন, আমারা অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রানীতি অনুসরণ করছি বলেই যেকোনো উৎস থেকে, যেকোনো ভাবে টাকা রোজগারই আমাদের উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশে বিনিয়োগের ভালো পরিবেশ না থাকায় লোকজন ব্যাংকে টাকা জমা করছে আর একারণেই কোটিপতিদের হিসাব সংখ্যা বেড়েছে।

তিনি বলেন, ৭-৮ বছর আগে যারা ব্যাংকে টাকা রেখেছিলেন ডাবলস্কিমে তাদের টাকার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আর এভাবে একটা শ্রেণীই কেবল ধনী হচ্ছে।

আজকের বাজার: এলকে/ ২৩ ডিসেম্বর ২০১৭