দ্বিতীয় ভৈরব রেল সেতু উদ্বোধন সেপ্টেম্বরে

ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস সেতু সেপ্টেম্বর মাসের প্রথমার্ধে উদ্বোধন করা হবে।

সেতুর প্রকল্প পরিচালক ও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই বলেন, সেতু দুইটির নির্মাণ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসেই এগুলো উদ্বোধন হবে।

রেল মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল আলম জানান, গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথে টঙ্গী থেকে ভৈরববাজার স্টেশন পর্যন্ত ডাবল রেললাইনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। এই ডাবল লাইন চালুর ফলে এই অংশে এখন প্রতিদিন আন্তঃনগর ট্রেনসহ ৮৪টি ট্রেন চলাচল করছে।

দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস সেতু দুটি উদ্বোধনের পর ঢাকা থেকে আখাউড়ার মধ্যে ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে। পরবর্তীতে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে পুরোপুরি ডাবল লাইন চালু হলে এর প্রভাব পড়বে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে। পণ্য পরিবহনে গতি আসবে, যাত্রাপথে সময়ও বাঁচবে প্রায় দেড় থেকে ২ ঘন্টা। এখন ঢাকা-চট্টগ্রামে যাতায়াতে সময় লাগে সাড়ে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা।

এ প্রসঙ্গে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন প্রকল্পের পরিচালক মোজাম্মেল হক বলেন, এই প্রকল্পের ৩০ শতাংশ কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার এ প্রকল্পে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের পরিমান ১ হাজার ২৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ২০১৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ৯৮৪ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু ও ২১৮ মিটার দীর্ঘ তিতাস রেলসেতু চালু হলে ভৈরব ও আখাউড়া স্টেশনে ক্রসিং ছাড়াই ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের সময় এবং ট্রেনের সংখ্যাও বাড়বে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবদুল হাই বলেন, ‘রেলওয়ে এপ্রোচসহ ৯৫৯ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতু দুটি নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ১৩৩ কোটি টাকা সরকারি তহবিল (জিওবি) ও ৮২৬ কোটি ২০ লাখ টাকা অর্থায়ন করেছে ভারতীয় ঋণ সহায়তা (এলওসি)। ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এই প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এরমধ্যে ১২টি পিলার ও ৯টি স্প্যান বিশিষ্ট ৯৮৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭ মিটার প্রস্থের ভৈরব সেতুর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা। ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে।

একইভাবে ১৯১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে তিতাস সেতু। ২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়।
সূত্র: বাসস

আজকের বাজার: আরআর/ ১২ আগস্ট ২০১৭