ধর্মঘটে অবরুদ্ধ পশ্চিমবঙ্গ!

ভারতে এনআরসি, সিএএ, এনপিআর এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে দেশের কিছু সংস্থা বেসরকারি করণের প্রবণতা এবং লাগাম ছাড়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের বামেদের ডাকা গতকালের ভারত বনধকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় রেল, সড়ক অবরোধ করে ধর্মঘট করীরা।

গতকাল দেশের ১৪টি ট্রেড ইউনিয়নের ঢাকা গোটা ভারতব্যাপী ভারত বন্ধের জেরে কলকাতা রাজ্যের কোথাও কোথাও সরকারি গাড়ি ভাঙা হয়, কোথাও অটো ভেঙ্গে বনধ সফলের চেষ্টা করেন ধর্মঘট করীরা। টায়ার জ্বালিয়ে, কোথাওবা জোর করে দোকান বন্ধ করারও চেষ্টা হয়।

এদিন সকলেই কলকাতার উত্তর শহরতলির দমদম রেল স্টেশনে বুকিং কাউন্টার বন্ধ করে দেয় সিপিএম সদস্যরা। মেট্রো ও সাধারণ ট্রেনের সমস্ত বুকিং কাউন্টার বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়ে যান যাত্রীরা।

অপরদিকে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে রেল অবরোধ করা হয়। রেললাইনের উপরে বসে পড়ে স্লোগান দিতে শুরু করে অবরোধকারীরা।

সেইসাথে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খড়পুরের হিজলিতে অবরোধ করেন ধর্মঘটকারীরা। খড়গপুর, পাঁশকুড়া ও হলদিয়ায় অবরোধ করে সিপিএম ও এসইউসিআই।

সেই সঙ্গে উত্তরবঙ্গের মালদায় সরকারি বাসের ওপরে হামলা চালায় তারা। আটকে দেওয়া হয় দূরপাল্লার বাস। সরকারি অফিস-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেনি। এক প্রকার বনধ সমর্থকদের দখলেই চলে যায় শহর।

অপরদিকে সকালেই দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সদর বারাসতের হেলা বটতলা, হৃদয়পুরে রেললাইন ও বারাসত কারশেডের সামনে উদ্ধার হয় বোমা। হুগলি জেলার বৈদ্যবাটিতে বাসের চাবি কেড়ে নিয়ে চালককে নামিয়ে দেওয়া হয়। এদিন সকালে বনধের প্রভাবে কোচবিহারে বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। স্বল্পযাত্রী নিয়ে সরকারি বাস কিছু চললেও বেসরকারি বাস বন্ধ| নিরাপত্তার খাতিরে মাথায় হেলমেট পরে বাস চালাচ্ছেন সরকারি বাস চালকরা। অশান্তি এড়াতে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন রাস্তায় মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী।

আজকের বাজার/লুৎফর রহমান