অনুমোদন পেল ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প

মসজিদ মন্দিরের উন্নয়ন প্রকল্পসহ পাঁচ হাজার ১৮১ কোটি টাকার মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে খরচের জন্য ৬০০ কোটি টাকা পাচ্ছেন সংসদ সদস্যরা। এই টাকা তারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ব্যয় করতে পারবেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে এসব কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব প্রকল্প সম্পর্কে জানান।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সর্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ বিষয়ক প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা বরাদ্দ পাচ্ছেন সাংসদরা। মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, গির্জা, প্যাগোডা, গুরুদুয়ারা এবং খেলার মাঠ উন্নয়নে এই বরাদ্দ ব্যয় করতে পারবেন তারা। তবে এ প্রকল্পের জন্য সাংসদরা সরাসরি বরাদ্দ পাবেন না, তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করা হবে। কাজ বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।

জানা গেছে, সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে প্রতিটি উপজেলার জন্য ১ কোটি টাকা করে দেশের ৪৯১টি উপজেলার জন্য ৪৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া পূর্তকাজের থোক বরাদ্দ হিসেবে আরও ১০৯ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। থোক বরাদ্দের অর্থ চাহিদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যয় করা হবে। ফলে পূর্তকাজে মোট বরাদ্দ রাখা হচ্ছে ৬০০ কোটি টাকা। নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার উন্নয়নকাজ করা হবে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ।

সভায় অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হলো, এক হাজার ২১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেট বিভাগের ‘গুরুত্বপুর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’; ৯৮৬ কোটি টাকার ‘বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’; ‘চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার পোল্ডার নং ৭২ এর ভাঙনপ্রবণ এলাকায় স্লোপ প্রতিরক্ষা কাজের মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রকল্প’। ১৯৭ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত প্রকল্প।

এ ছাড়া রয়েছে ৯৯২ কোটি টাকার ‘২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প’; ১০০ কোটি টাকার ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিবাস নির্মাণ প্রকল্প’; ৬৫ কোটি টাকার ‘আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কের ষষ্ঠ কিলোমিটারে ১০৩ দশমিক ৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্প’।

আরো রয়েছে ‘সারা দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কম্পিউটর ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপন প্রকল্প’ যার ব্যয় প্রায় ৩৯৮ কোটি টাকা; ‘যমুনা নদীর ভাঙন হতে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি ও শুভগাছা এলাকা সংরক্ষণ প্রকল্প’ যার ব্যয় ৪৬৫ কোটি টাকা এবং ৯৮ কোটি টাকার ‘গোপালগঞ্জ বহুতল বিশিষ্ট সমন্বিত সরকারি অফিস নির্মাণ প্রকল্প’।

আজকের বাজার : এলকে/এলকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭