নাজিমের পরিবারকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারে দুই বাসের রেষারেষিতে প্রাণ হারানো ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকার বিজ্ঞাপন বিভাগের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মো. নাজিম উদ্দিনের (৪১) পরিবারকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আদেশ দেয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (২২ মে) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচাপরপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ রুল জারি করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম গোলাম মোস্তফা।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত ‘দুই বাসের ভয়ঙ্কর প্রতিযোগিতায় বুকের ওপর দিয়ে গেল বাস’ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন। আদালতে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এবিএম গোলাম মোস্তফা তাজ। রুলে স্বরাষ্ট্র সচিব, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রাবাড়ী থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলেন নাজিম উদ্দিন। ৩২ বছরের তরতাজা প্রাণ। গন্তব্য গুলিস্তান। মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে উঠতেই তিনি পড়ে গেলেন দুই বাসের প্রতিযোগিতার মুখে। মঞ্জিল ও শ্রাবণ পরিবহনের দুটি বাস মরিয়া, কে কার আগে যাবে। শ্রাবণ পরিবহনের বাসটি নাজিমের মোটরসাইকেলটিকে দিল পেছন থেকে ধাক্কা। ছিটকে সেতুর সড়কে পড়ে গেলেন তিনি। নিমেষে বাসটি চলে গেল তার বুকের ওপর দিয়ে। মেয়র হানিফ উড়ালসড়কে এভাবেই জীবনাবসান ঘটে নাজিম উদ্দিনের। নগরের বাসে বাসে বিভীষিকাময় প্রতিযোগিতার আরেক বলি তিনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রাসেল মাহমুদ ও নাইম ইসলাম নামের দুই যুবক। তারাও মোটরসাইকেলে করে গুলিস্তানের দিকে আসছিলেন। আহত নাজিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রাসেল। সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহত নাজিমের গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার কালমার বালুরচরে। তিনি ঢাকার শ্যামপুরে থাকতেন। সেদিন অফিসের কাজে বের হয়েছিলেন তিনি।

আজকের বাজার/ এমএইচ