নাটোরে পেট্রল পাম্প ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট

জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন বৃদ্ধি, ট্যাংক লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, ট্যাংক লরির ভাড়াবৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে নাটোরের ২৬টি পেট্রল পাম্পে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট।

রবিবার ভোর থেকে পাম্পগুলোতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দেয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা। এর ফলে ফিলিং স্টেশনগুলোতে গিয়ে ফিরে যেতে হয় অনেক যানবাহনকে।

পেট্রল পাম্প ওনার্স এসোসিয়েশনের রাজশাহী বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পিকে জানান, ‘দাবি আদায়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বার বার আবেদন করে কোন ফল না পাওয়ায় পেট্রল পাম্প ও ট্যাংক লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যৌথভাবে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে।’

১৫ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদান, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান-বিষয়টি সুনির্দিষ্টকরণ, প্রিমিয়াম পরিশোধ স্বাপেক্ষে ট্যাংক লরির শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বীমা প্রথা প্রণয়ন, ট্যাংক লরির ভাড়া বৃদ্ধি, পেট্রলপাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল, পেট্রলপাম্পে অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেল স্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রলপাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল, ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ব্যতিত অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল, বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডার গ্রাউন্ড ট্যাংক ৫ বছর অন্তর বাধ্যতামূলক ক্যালিব্রেশনের সিদ্ধান্ত বাতিল, ট্যাংক লরি চলাচলে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, সুনির্দিষ্ট দপ্তর ছাড়া সরকারি অন্যান্য দাপ্তরিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ডিলারবা এজেন্টদেরকে অযথা হয়রানি বন্ধ, নতুন কোনো পেট্রলপাম্প নির্মাণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় জ্বালানি তেল মালিক সমিতির ছাড়পত্রের বিধান চালু, পেট্রলপাম্পের পাশে যেকোনো স্থাপনা নির্মাণের পূর্বে জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি সনদ গ্রহণ বাধ্যতামূলক ও বিভিন্ন জেলায় ট্যাংক লরি থেকে জোরপূর্বক পৌরসভার চাঁদা গ্রহণ বন্ধ।

উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর সংগঠনের রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির আয়োজনে বগুড়া প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ধর্মঘটের এ ঘোষণা দেয়া হয়। তারা ধর্মঘট শুরুর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ১৫ দফা দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারকে আল্টিমেটাম দেন। সূত্র:ইউএনবি

আজকের বাজার / ফজলুর রহমান