নিউইয়র্কের মেয়র অফিসের সাথে বাংলাদেশ কনস্যূলেট জেনারেলের কনসাল জেনারেলের বৈঠক

নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম নিউইর্য়কের মেয়র অফিসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিশনার এডওর্য়াড মারমেল স্টেইন এর সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাত করেছেন।

সেখানকার সময়ানুযায়ি গতকাল বুধবার অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পকের নানাবিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশ কমিউনিটির কল্যাণ, নিরাপত্তা এবং নিউইয়র্কের একটি উপযুক্ত স্থানে শহীদ মিনার স্থাপনসহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হয়।

বৈঠকে বাংলা ভাষাকে নিউইয়র্কে আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার ও প্রসারের বিষয়ে কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কনসাল জেনারেল। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সর্ম্পকের পঞ্চাশ বছর পূর্তি হওয়ায়, এ বছরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে কনসাল জেনারেল আগামীতে দু’দেশের মধ্যেকার বিরাজমান সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ আরো সুদৃঢ় ও সম্প্রসারিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আলোচনাকালে উভয়েই নিউইয়র্ক সিটি ও বাংলাদেশের কোন একটি মেট্রোপলিটান সিটির মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা (সিস্টার সিটি) প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আরো বিকশিত করার জন্য ফিল্ম ফ্যাষ্টিভাল, ফুড ফ্যাষ্টিভাল ও বাংলাদেশের উপর চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা যেতে পারে বলে সভায় মত প্রকাশ করা হয়।
আলোচনাকালে তিনি কমিশনার এডওর্য়াড মারমেল স্টেইনকে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়ে অবহিত করেন।

এসময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন এবং যে সব খাতে বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা রয়েছে তা তাঁকে জানান।

নিউইয়র্কের সামাজিক ও সাস্কৃতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ কমিউনিটির সম্পৃক্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কথা উল্লেখ করে কমিশনার সিটি উন্নয়নে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।কমিউনিটির কল্যাণে আগামী দিনগুলিতে কনস্যুলেটের সাথে অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন কমিশনার। মেয়র অফিস ও বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মধ্যেকার চলমান সহযোগিতা উত্তরোত্তর মজবুত ও গভীর হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বৈঠকে কনস্যুলেট জেনারেলের কাউন্সেলর আয়েশা হক উপস্থিত ছিলেন। খবর-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান