মোয়াজ্জেম হোসেনের রায়ে সন্তুষ্ট নুসরাতের পরিবার

সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেনের ৮ বছরের কারাদন্ডের রায়ে ফেনীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির পরিবারের সদস্যরা সন্তেুাষ প্রকাশ করেছেন।কারাদন্ডের পাশাপাশি ওসিকে ১৫ লাখ টাকা আর্থিক জরিমানাও করা হয়। ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার দায়ে ওসিকে এ সাজা ও জরিমানা করা হয়।

রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে নুসরাতের ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান বলেন, ওসি মোয়াজ্জেমের যে সাজা হয়েছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। তিনি এ সাজা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। নুসরাতের মামা সৈয়দ সেলিম বলেন, এটা একটা প্রত্যাশিত রায়। এ রায়ের ফলে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনার পুনাবৃত্তি হবে না বলেও জানান তিনি।

রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করে মামলার বাদী ব্যারিস্টার সাইদুল হক বলেন, রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি।এই রায় বাংলাদেশের সকল থানার ওসিদের জন্য একটা সংকেত। বিভিন্ন থানায় বসে যে সকল ওসিরা নিজেদের অনেক প্রভাবশালী মনে করেন তাদের জন্য এ রায় অশনি সংকেত হয়ে থাকবে।

তিনি আরো বলেন,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১ ধারায় তাকে সাজা দেওয়া হয়নি। পুর্নাঙ্গ রায়ের কপি পাওয়ার পর আমরা তা নিয়ে আপিল করবো। অপরদিকে ওসি মোয়াজ্জেমের আইনজীবী ফারুক হোসেন বলেন,রায়ে আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আস-শামস জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। এতে করে বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার প্রথম রায় ঘোষণা করা হলো। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন আদালত।

২৬ ধারায় ৫ বছরের কারাদন্ড দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। ২৯ ধারায় তিন বছরের কারাদন্ড পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। তথ্য-বাসস

আজকের বাজার/আখনূর রহমান