ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকার দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিক্ষোভ

সরকারের ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা প্রত্যাহার করে ১৬ হাজার টাকার দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর সারাদেশের কারখানাগুলোতে বিক্ষোভ করার ঘোষণা দিয়েছে পোশাক শ্রমিকরা। সরকার তাদের দাবি আদায় না করা পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ ঘোষণা দেয় পোশাক শ্রমিকদের সংগঠন- গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র। পরে দুপুরে সরকারের ন্যূনতম মজুরি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ‘আপত্তিপত্র’ জমা দিয়েছে সংগঠনটি। তবে মিছিল নিয়ে মন্ত্রণালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের আটকে দেয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, সরকার আমাদের দাবি মেনে না নিলে, ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার করার দাবিতে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত ‘অমানবিক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান মূল্যের প্রেক্ষিতে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি অবশ্যই ১৬ হাজার করা উচিৎ।

এর আগে সাবেক নির্বাহী সভাপতি সাদিকুর রহমান শামীমের সভাপতিত্বে প্রেসক্লাবের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর তৈরি পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণের ঘোষণা দেয় সরকার। আগামী ডিসেম্বরে প্রজ্ঞাপন জারির পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

সর্বশেষ ২০১৩ সালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সেসময় ন্যূনতম মজুরি ৫,৩০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

তৈরি পোশাক শিল্পে চীনের পরেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ। এই খাতে আনুমানিক চার কোটি শ্রমিক কাজ করে, তাদের বেশিরভাগই নারী শ্রমিক। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখে তৈরি পোশাক শিল্প।

আজকের বাজার/এমএইচ