পাকিস্তানের সমর্থনে ফের চীনের মন্তব্য, পাল্টা জবাব ভারতের

কাশ্মীর ইস্যুতে ফের পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ানোয় চীনকে লক্ষ্য করে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারত। কাশ্মীর পুরোপুরিই নিজেদের অভ্যন্তরীণ ইস্যু দাবি করে ভারত স্পষ্ট জানিয়েছে, অন্য দেশগুলো যদি এর মধ্যে নাক না গলায় তাহলে তাতে সবারই ভালো।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন বলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে বুধবার আশ্বস্ত করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

তবে চীনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের পাল্টা জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠকের বিষয়ে জানতে পেরেছি। আমরা জেনেছি যে তাদের বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট এবং অনড় রয়েছে।’

‘আমরা আগেই বলেছি যে জম্মু ও কাশ্মীর আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। চীনও আমাদের এই অবস্থান ভাল করেই জানে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে অন্য কোনও দেশ কথা বলুক এটা আমরা চাই না,’ স্পষ্ট জানান তিনি।

পাকিস্তানের ‘সব সময়ের বন্ধু’ বলে দাবি করা চীন জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের দাবিকে বরাবরই সমর্থন করে এসেছে। কাশ্মীর ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধান প্রয়োজন বলে বুধবার যৌথ বিবৃতি দেন ইমরান খান ও শি জিনপিং।

ওই যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘ইতিহাসে বরাবরই কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সমস্যা আছে, এই সমস্যাগুলো জাতিসংঘের নীতি মেনে সঠিক এবং শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত।’

এর আগে গত ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদের পরেই বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় পাকিস্তান। আর সেই সময় ইমরানের দেশের পাশে দাঁড়িয়ে কাশ্মীর ইস্যুটি জাতিসংঘে উত্থাপন করে চীন। তবে সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বীকার করে নেন যে, কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে বিশ্ব নেতাদের থেকে পাকিস্তানের পক্ষে সমর্থন জোগাড়ে তিনি ব্যর্থ হয়েছে।

বুধবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে ফের কাশ্মীর প্রসঙ্গ ওঠায় চীনের প্রেসিডেন্ট ইমরান খানকে আশ্বস্ত করেছেন যে তাদের ‘মূল স্বার্থ’ এক হওয়ায় পাকিস্তানকে সমর্থন করবেন তারা।

চীনের সংবাদসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট নাকি এমন কথাও বলেছেন যে কাশ্মীর ইস্যুতে ‘সঠিক ও ভুল’ দুই বিষয় নিয়েই ভারত ও পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা উচিত।

সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ভারতের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক শীর্ষ সম্মেলনে বসার আগেই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়ে ওই ধরনের মন্তব্য করলেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

এই শীর্ষ সম্মেলন সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, ‘আসন্ন শীর্ষ সম্মেলনে দুই নেতাই দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলবেন। ভারত-চীন পারস্পরিক বোঝাপড়ার উন্নতিতেও আলোচনা করা হবে ওই বৈঠকে।’