পাক নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্রের

আগুন, সন্ত্রাস, বোমাবাজি, ভোট কারচুচি ও সেনা হস্তক্ষেপের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হয়েছে জাতীয় নির্বাচন। কাল রাতভর চলেছে ভোট গণনা। এখন প্রকাশিত হচ্ছে ফলাফল। অর্ধেক কেন্দ্রের ফলাফলও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে চলেছেন তেহরিক-ই-ইনসাফ প্রধান নওয়াজ শরীফ। এরইমধ্যে নির্বাচনী ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন পিএমএল-এন প্রধান শাহবাজ শরীফ।

পাকিস্তানের নির্বাচনে কড়া নজর রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। এরমধ্যে সর্বাগ্রে রয়েছে মার্কিন-যুক্তরাষ্ট্র। ফলাফল ঘোষণার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে, এই নির্বাচনের ফলাফলের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে তাদের।

পাকিস্তানে অবাধে নির্বাচন হয়েছে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল ট্রাম্প প্রশাসন। বিরোধীরাও এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তবে বহু পাকিস্তানি বিশ্বাস করছেন যে পাকিস্তানের মানুষ দুর্নীতির পক্ষে রায় দিতেই ভোট দিয়েছেন ইমরানকে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত সাবেক পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানি বলেন, এই ফলাফল পূর্ব নির্ধারিত। সেনাবাহিনীর ইমরানকে সমর্থনের অভিযোগও সামনে এসেছে।

প্রাথমিক ফলাফল কোনোভাবেই মেনে নিচ্ছে না নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন। তাঁর ভাই শাহবাজ শরিফ সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিলেন, এই ফলাফল তাঁরা মানছেন না। ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। অন্যদিকে, একই অভিযোগ তুলেছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে।

আজকের বাজার/এমএইচ