পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে ৯.৮৪%

২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৭ হাজার ২৯৬ কোটি টাকা। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় এ খাতের পণ্য রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে।

বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুন মাসে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

এতে আরও জানানো হয়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত দ্রব্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার; পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮৬ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৯০ কোটি ৩৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ বেশি। সদ্য সমাপ্ত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তুলনায় এ খাতের রপ্তানি আয় ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে। গত অর্থবছরের এ সময়ে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৮২ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।

ইপিবির হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে কাঁচা পাট রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। এ সময়ে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ২০ লাখ ১০ হাজার ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ কম। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে কাঁচা পাট রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৪ কোটি ৯৮ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে ৫৩ কোটি ১৮ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ সময়ে আয় হয়েছে ৫৬ কোটি ৫৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ২৯ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-মে মেয়াদে পাটের সুতা ও কুণ্ডলী রপ্তানিতে ৫০ কোটি ২৮ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছিল

চলতি বছরের জুলাই-মার্চ মেয়াদে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১২ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ দশমিক ৩৩ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের আয় ১১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে পাটের বস্তা ও ব্যাগ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১১ কোটি ৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।

ইপিবির প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে পাটের অন্যান্য দ্রব্য রপ্তানিতে ৫ কোটি ৩০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার আয় হয়েছে; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ১০ দশমিক ৩২ শতাংশ কমেছে।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ২৭ জুন ২০১৭