পাবনায় পুলিশ হত্যায় ৮ চরমপন্থীর যাবজ্জীবন

পাবনার বেড়া উপজেলার ঢালারচর ফাঁড়ির তিন পুলিশ হত্যা মামলায় আট চরমপন্থীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়া তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- বেড়া উপজেলার ঢালারচর এলাকার জহুরুল ইসলাম, আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের হাশেম ওরফে খোকন ওরফে বাচ্চু, রাজবাড়ির জেলার মাইছে ঘাটা গ্রামের জোসন মোল্লা ওরফে জাবেদ, বেড়া উপজেলার রাজধরদিয়অ গ্রামের নিজাম ফকির, ধারাই গ্রামের রফিক ওরফে জৈটা রফিক, কাছাদিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী, সুজানগর থানার পশ্চিম কাছাদিয়া গ্রামের শুকুর আলী সরদার ও পুকুরনিয়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কানা আলম।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু বলেন, এ মামলার ১৫ আসামির মধ্যে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তিন জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্তরা সবাই চরমপন্থী সংগঠন সর্বহারা পার্টির সদস্য। রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত ছয়জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি দুইজন জহুরুল ও বাচ্চু পলাতক রয়েছেন।

আইনজীবী জানান, ২০১০ সালের ২০ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেড়া উপজেলার মালদার হাট বাঁধের ধারে ঢালারচর ফাঁড়ির এসআই কফিল উদ্দিন, নায়েক ওয়াহেদ আলী ও কনস্টেবল শফিকুল ইসলাকে গুলি করে হত্যা করে চরমপন্থীরা।

এ ঘটনায় ২১ জুলাই প্রত্যক্ষদর্শী কনস্টেবল রশিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বেড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলাটি তদন্ত শেষে ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।

আজকের বাজার/এমএইচ