পুঁজিবাজারের জন্য বাজেটে ফান্ড বরাদ্দের দাবী

২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন প্রকল্প উন্নয়নের জন্য ফান্ড রাখা হয়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্যও তেমন একটা ফান্ড রাখা উচিত। যেটা পুঁবাজারের সার্বিক উন্নয়নের কাজে আসবে।

আজকের বাজারের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমনটা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ গোলাম ফারুক।

তিনি বলেন, এবারের প্রস্তাবিত বাজেট পুঁজিবাজারবন্ধব। এখানে করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বিদ্যমান ২৫ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। যেটা পুঁজিবাজারের জন্য একটা ভালো দিক হবে। তারপর আমাদের বহুল প্রত্যাশিত মার্জার সনাক্ত করেছে সরকার। এটাও মার্কেটের জন্য ভালো হবে।

মোঃ গোলাম ফারুক বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে স্টক ডিভিডেন্ড দেয়ার প্রবনতাকে ট্যাক্স আরোপের মাধ্যমে লাগাম টেনে দেয়া হয়েছে। যেটা পুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আবার ডিভিডেন্ড না দিয়ে বছরের পর বছর রিটেইনড আর্নিংস বা রিজার্ভ বাড়ালে, সেখানেও একটা ট্যাক্স ধার্য করা হয়েছে। যা পুঁজিবাজারের জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে।

তিনি বলেন, এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য এই হার ৩৫ শতাংশ। এ দুয়ের মধ্যে গ্যাপটা আরেকটু বাড়ানো হলে কোম্পনিগুলো পুঁজিবাজারে লিস্টেড হতে আগ্রহী হবে। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, সরকার বাড়ি, ভূমি ও কিছু ইকনোমিক জোনে কালো টাকা বিনিয়োগ করার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগটা পুঁজিাবাজারের জন্যও দরকার। কারণ, সেই টাকাটা পুঁজিবাজারে আসলে বাজারে বড় একটা পরিবর্তন আসতে পারে।

সিএসই’র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, আমরা স্টক একচেঞ্জের উপর ক্রমান্বয় হারে যে ট্যাক্স দিয়ে আসছি সেটা যদি আরও পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয় তাহলে ভালো হয়। তাছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতিতে স্টক ব্রোকারদের উৎসে কর হার ০.৫০ থেকে কমিয়ে ০.১৫ শতাংশ করা উচিত।

আজকের বাজার/নিজস্ব প্রতিবেদক