পুঁজিবাজারে ধ্বসের পেছনে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের অরাজকতা অন্যতম কারণ

২০১০ সালে পুঁজিবাজারে ধ্বসের পেছনে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের অরাজকতা অন্যতম কারণ।যদিও বিষয়টি নিয়ে তেমন আলোচনা হয়নি বা কেউ বলেনি। তবে ওইসময় প্লেসমেন্টে শেয়ার বিক্রয় নিয়ে নানা অরাজকতা হয়েছে। এমনও হয়েছে অনেকে টাকা দিয়েও প্লেসমেন্টের শেয়ার পায়নি এবং যে পরিমাণ পাওয়ার কথা ছিল, তা পায়নি বলে মনে করেন স্বপন কুমার বালা।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) রাজাধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশন (বিএমবিএ) কতৃক বিশ্ব বিনিয়োগকারী সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত  ‘প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগ ও বিনিয়োগকারোদের সচেতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক’ সেমিনারে তিনি এসব বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাধারন সম্পাদক খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদ।

স্বপন কুমার বালা আরো বলেন, শেয়ারবাজারে এখনো প্রাইমারি মার্কেট লাভজনক বলে জানিয়েছেন বালা। এই মার্কেটে অবিশ্বাস্য ক্যাপিটাল গেইন করা যায়। যা একটি কোম্পানির লেনদেনের প্রথমদিনেই অর্জন সম্ভব হয়। এক্ষেত্রে সাধারনত ৩ মাস সময় লাগে। তবে এটাকে কমিয়ে আনার জন্য কমিশন কাজ করছে।

দেশে ৫৫-৬০টি মার্চেন্ট ব্যাংক বা ইস্যু ম্যানেজার থাকলেও হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ারবাজারে ইস্যু নিয়ে আসছে। প্রত্যেকটি মার্চেন্ট ব্যাংকের আইপিও’র জন্য ইস্যু জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক হলেও অধিকাংশই তা করতে ব্যর্থ হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার অভাবে ঘুরেফিরে কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক ইস্যু আনছে।

তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যের উপর কোম্পানির ভালো-মন্দ নির্ভর করে। তাই বিনিয়োগের আগে উদ্যোক্তাদের সর্ম্পক্যে জেনে নেওয়া উচিত। কারন উদ্যোক্তাদের অসৎ উদ্দেশ্যের কারনে একটি গ্রুপের সবচেয়ে ভালো কোম্পানিটিও শেয়ারবাজারে এসে খারাপ হয়ে যায়। আর দূর্বল কোম্পানিগুলো ভালো হয়ে যায়।

এক প্রশ্নের জবাবে বালা বলেন, বার্ষিক সাধারন সভায় (এজিএম) দাবি নিয়ে কথা বলা শেয়ারহোল্ডারের মৌলিক অধিকার। যদি এটা সম্ভব না হয়, তাহলে শেয়ারহোল্ডারদের আদায় করে নিতে হবে। তাও না পারলে কমিশনে অভিযোগ করতে হবে। এর আলোকে কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জাকির/আজকের বাজার