পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৬,৩৬০ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

গার্মেন্ট মালিকদের প্রতিনিধি বিজিএমইএ’র ন্যূনতম মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকার প্রস্তাবনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এছাড়া শ্রমিক প্রতিনিধির ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ২০ হাজার টাকার প্রস্তাবও মেনে নেবে না গার্মেন্ট শ্রমিকরা।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতারা।

তারা বলেন, মজুরি বোর্ডের মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। প্রস্তাবনা পরিবর্তন করে শ্রমিকদের জীবনমান ও জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে নিম্নতম মজুরি ১৬ হাজার টাকার দাবি মেনে নেয়া আহ্বান জানান তারা।

সংগঠনের নির্বাহী সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন বলেন, সোমবারের বৈঠকে শ্রমিক প্রতিনিধি শামসুন নাহার ভূইয়া শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মূল বেতন ৫ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ২০ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। অন্যদিকে গার্মেন্ট মালিকদের প্রতিনিধি, বিজিএমইএ’র সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৬ হাজার ৩৬০ টাকার প্রস্তাবনা করেছেন।

তিনি বলেন, ট্রেড ইউনিয়নের সকল প্রতিনিধিরা পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা করা দাবি জানায় এবং তাদের এ দাবি বোর্ডের কাছে উত্থাপন করতে শামসুন নাহারকে অনুরোধ জানায়। কিন্তু তিনি তাদের দাবির পরিবর্তে ১২ হাজার ২০ টাকা করার প্রস্তাব করেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার অভিযোগ করেন, শ্রমিক প্রতিনিধি শামসুন নাহার রাজনৈতিক দলের লোক। তিনি মালিকদের স্বার্থ রক্ষা করে শ্রমিকদের স্বার্থ উপেক্ষা করেছেন।

শ্রমিক সংগঠনের নেতা অবিলম্বে সরকারকে নিম্নতম মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা এবং নিম্নতম মোট মজুরি ১৬ হাজার টাকা করার জোর দাবি জানান। না হলে তাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তারা।

আগামী শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬ হাজার টাকা মজুরির দাবিতে মিছিল ও সমাবেশের ঘোষণা দেন সংগঠনের নেতারা।

আজকের বাজার/এমএইচ