প্রথমবারের মতো ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া

সেই ১৯৬৬ সালের পর আবার শিরোপার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু ক্রোয়েশিয়া বাধায় ভেঙে টুকরো ‍টুকরো হয়ে গেছে সেই স্বপ্ন। দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা কাটানোর আশায় দলটি প্রতিটি ম্যাচে দারুণ খেলে সেমিফাইনালে এলেও সেখানেই থেমে গেছে জয়যাত্রা।

অতিরিক্ত সময়ের গোলে ইংল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ইতিহাস রচনা করে বিশ্বকাপ ফাইনালে নাম লেখালো ক্রোয়েশিয়া। সেই সাথে কোয়েট সমর্থকদের উদযাপন অব্যাহত রইলো রাশিয়ায়। ১৫ জুলাই ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া লড়বে শক্তিশালী ফ্রান্সের সাথে।

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটের ১৯তম মিনিটে(ম্যাচের ১০৯ মি.) গোল করে ক্রোয়েশিয়া। বাকি সময়ে সেই গোল আর শোধ দিতে পারেনি হ্যারি কেনের দল। ফলে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় ক্রোয়েশিয়া।

বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রাশিয়ার লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফাইনালের টিকেটের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের শুরুতেই মাত্র পাঁচ মিনিটে গোলের দেখা পায় ইংল্যান্ড। ক্রোয়েশিয়ান ডি-বক্সের বাইরে পাওয়া এক ফ্রী-কিক থেকে নেওয়া শটে ইংলিশদের এগিয়ে দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। তবে সেখানেই যেন শেষ! এরপর আর সেভাবে জ্বলে উঠতে দেখা যায়নি ইংলিশ খেলোয়াড়দের। আক্রমণের বদলে ক্রোয়েশিয়ানদের সামলাতেই বেশি ব্যস্ত থাকতে হয় ইংলিশ রক্ষণভাগকে।

ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য এগিয়ে থেকেই শেষ করে ইংল্যান্ড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়াকে সমতায় ফেরান ফরওয়ার্ডার ইভান পেরিসিক। ডিফেন্ডার সিমে সালজকো’র ক্রস থেকে ৬৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার জন্য বহুল প্রতীক্ষিত গোলটি করেন ইভান। এর ঠিক চার মিনিট পর আবারও সুযোগ পেয়েছিল ইভান। কাজেও লাগিয়েছিলেন সে সুযোগ। বাম পায়ে নেওয়া শট ইংলিশ গোল্ট পোস্টের ডান বারে লেগে ফেরত চলে আসে। আর ফেরত আসা বল থেকে অ্যান্টে রেবিকের নেওয়া শট রুখে দেন ব্রিটিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড।

পিকফোর্ড অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার বেশ কয়েকটি নিশ্চিত আক্রমণ নস্যাত করে দেন। কিন্তু শেষমেষ বিনা পুরস্কারেই ঘরে ফিরতে হবে তাদের। কারণ ক্রোয়েশিয়ার জন্য জয়সূচক গোল করে দলকে ফাইনালে নিয়ে যান আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় মারিও মাদজুকিক। শেষ মুহুর্তের মাত্র ১১ মিনিট আগে ইংলিশদের ‘রিটার্ন টিকিট’ নিশ্চিত করে দেন মারিও।

প্রথম ৯০ মিনিটে ১-১ এর সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও প্রথম অংশে গোল বঞ্চিত ছিল দুই দলই। তবে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ইভান পেরিসিসিকের ব্যাক হেড থেকে গোল করেন মারিও। অসহায় ইংলিশ গোলরক্ষককে রীতিমতো বোকা বানিয়ে গোলটি করেন মারিও।

আরএম/