প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলের এগিয়ে আসা জরুরী : রাষ্ট্রপতি

ফাইল ছবি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী জনহিতৈষী সংগঠনের এগিয়ে আসা অত্যন্ত জরুরি।
আগামীকাল ১ অক্টোবর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, একই সাথে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধে সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে।
সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশে ১ অক্টোবর ‘২৮তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল প্রবীণের সুস্বাস্থ্য ও শান্তিময় জীবন কামনা করেন।
তিনি বলেন, এ বছর আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বয়সের সমতার পথে যাত্রা’। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই মানুষকে একদিন প্রবীণত্বকে বরণ করতে হয়। একজন প্রবীণ ব্যক্তির বয়সজনিত নানা শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। পাশাপাশি তাকে পারিবারিক, সামাজিক ও ক্ষেত্রবিশেষে কর্মস্থলেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এ প্রেক্ষাপটে এ বছরের আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের প্রতিপাদ্য যথার্থ হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রবীণ জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসহায় প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তার বিধান রেখে সংবিধানে সামাজিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদ সংযুক্ত করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সরকার বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি প্রবর্তন করে। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইন এবং প্রজাতন্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীসহ সকল কর্মচারীর জন্য বৈশাখী ভাতাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করা হয়। প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার অক্ষুন্ন রাখার জন্য প্রবীণ বিষয়ক জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন ও দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে তাদেরকে সিনিয়র সিটিজেন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।