পড়াশোনা করে যে বেকার থাকে তত সে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, পড়াশোনা করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে কিন্তু বর্তমান অবস্থান দাঁড়িয়েছে যে পড়াশোনা করে যে বেকার থাকে তত সে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, শহরের চেয়ে গ্রামের মানুষের আয় কমেছে। পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের আয় কমেছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে। আয়হীন প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।

তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি, উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আয় এই চারটির মধ্য সামঞ্জস্য আছে কি না দেখতে হবে। সামঞ্জস্য না থাকলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে। আমরা দেখছি দেশে কর্মসংস্থান বাড়লেও আয় কমছে। অর্থাৎ দেশ আয়হীন কর্মসংস্থানে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ধরা হলো ১৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিতরণ হয়েছে ১৮ শতাংশের বেশি। অথচ বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির অবস্থায় রয়েছে। তাহলে টাকা গেল কোথায়? ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ না বাড়ায় আয়হীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।

মুদ্রানীতি ঘোষণার কিছুদিন পর সিআরআর কমানোর বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিজের ঘোষিত মুদ্রানীতি আপনিই যদি না মানেন, তার অর্থ হচ্ছে আপনি বিকলাঙ্গ ব্যাংকিং ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ২০১৭ সাল ছিল ব্যাংকিং খাতের কেলেঙ্কারির বছর। আর চলতি বছর ব্যাংকিং খাতকে এতিমে পরিণত করা হয়েছে। আর সে এতিমের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। ব্যাংকিং খাতের টাকা নিয়ে ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। পুঁজিবাজারের অবস্থা অস্থিতিশীল। আমদানি খাতেও স্বচ্ছতার অভাব। এ তিনটি জায়গায় অর্থের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

এস/