ফণি: প্রাণ বাঁচাতে ৮ লাখ মানুষ সরিয়ে নিচ্ছে ভারত

ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডব থেকে বাঁচাতে ভারতের উড়িষ্যা, অন্ধ্র প্রদেশ ও তামিলনাড়ু উপকূলবর্তী এলাকা এবং নিম্নাঞ্চল থেকে আট লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে বাস, নৌকা ও ট্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব থেকে প্রাণ ও সম্পদের ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে দেশটির সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছেন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আঘাত হানতে পারে অতিপ্রবল এই ঝড়টি।

ভারতের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, উড়িষ্যার নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার জন্য ৮৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। যেখানে ১০ লাখ দুর্গতদের আশ্রয় দেওয়া যাবে। এছাড়া ঝুকির মুখে থাকা ওইসব এলাকার সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ঘূর্ণিঝড় ফণী সবচেয়ে মারাত্মক আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে উড়িষ্যার পুরি শহরে। সেখান থেকে প্রায় এক লাখ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে প্রায় ৮৫৮ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ মন্দিরের।

উড়িষ্যার মেটেরোলজিক্যাল সেন্টারের পরিচালক এইচ আর বিশ্বাস বলেন, উড়িষ্যার অন্তত ১১টি জেলায় আঘাত হানতে পারে ফণী। এজন্য মানুষদের ঘরের ভেতর থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। জেলেদের অনুরোধ করা হয়েছে সাগরে মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেল যোগাযোগ ও স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ঘূর্ণিঝড়ের পর উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার কাজ চালাতে প্রস্তুত রয়েছে কোস্টগার্ড ও অন্যান্য জরুরি উদ্ধার দল। দক্ষিণের ভিশাকপাটাম ও চেন্নাই নৌ-বন্দরে দুটি জাহাজে প্রস্তুত রয়েছে চিকিৎসক দল ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী।

এদিকে, ভারতের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানার পর ফেণী ক্রমশ দুর্বল হয়ে আঘাত হানতে পারে পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশে। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ মে) ফেণী চট্টগ্রামে আঘাত হানতে পারে। উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কক্সবাজারে রয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প। সেখানে ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী সাইক্লোন ফেণী’তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

আজকের বাজার/এমএইচ