‘ফরমায়েশি’ ও ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক’ রায়ের প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগরে মানববন্ধন

২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে ‘ফরমায়েশি ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক রায়ের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি পন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘জাতীয়তাবাদী শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ফোরামের’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মানববন্ধনে সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামছুল আলম সেলিমের সঞ্চলনায় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে ২১ অগাস্ট গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন ক্ষমতায় থাকা সরকারের কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলনা দাবি করে দর্শন বিভাগের অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “এটা একটি ফরমায়েশি রায়। ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামীলীগ সরকার জুলুম-নির্যাতন-দমন-পীড়ন চালালেও বিএনপির কোন জনসভায় কিন্তু গ্রেনেড হামলা চালায় নি। কারণ তারা জানে এই ধরনের ঘটনার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধেই যাবে। এই মামলায় বিএনপিকে জড়ানো হয়েছে শুধুমাত্র বিএনপিকে ধ্বংস করতে।”

তিনি আরো বলেন, “ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। ক্ষমতা থেকে একদিন চলে যেতে হবে। আমরা বহু সৈরাচারীর পতন দেখেছি। যাদের পরিণতি হয়েছিল করুন। তাই এখনও সুযোগ আছে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন। নয়তো জনগণ আপনাদেরকে কখনো ক্ষমা করবেনা।”

“আজ আপনি নিজেকে নিরাপদ ভাবছেন। মনে রাখবেন কাল আপনিও এই জুলুমবাজ সরকার কর্তৃক আক্রান্ত হবেন। এখনও সময় আছে চলুন আমরা বাংলাদেশ রক্ষার আন্দোলনে এগিয়ে আসি। এই জুলুমবাজ সরকারের বিরুদ্ধে জেগে উঠি।”

ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, “আওয়ামীলীগ সরকার গণতন্ত্র মানেনা। এই সরকার বাংলাদেশের অর্থনীতিকে নষ্ট করে দিয়েছে। মানুষের স্বাভাবিক বাক স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারেক রহমানকে জড়িয়ে এই রায় দেওয়া হয়েছে। আমরা এই রায়কে প্রত্যাখান করছি।”

এই মামলাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আখ্যাদিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জামাল উদ্দিন নুরু বলেন, “বর্তমান আইজিপির তদন্তে এই মামলায় তারেক রহামন সহ বিএনপির কারো সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও বহিস্কৃত কাহার আকন্দকে নিয়ে এসে যে তদন্ত করা হয়েছে তাতে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন হয়েছে।”

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ফজলুল করিম পাটওয়ারী, আব্দুর রহমান বাবুল, আব্দুল খালেকসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় অর্ধশত শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

আজকের বাজার/এমএইচ