ফাইনালে পাকিস্তান

স্বাগতিক ইল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনাল নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান। ১৪ জুন বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। তা-ও আবার ৭৭ বল বাকী থাকতেই।

পাকিস্তানের জয়ের মধ্য দিয়ে অল-এশীয় ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে চূড়ান্ত হবে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ কে হচ্ছে। এই ম্যাচে ভারত ও বাংলাদেশ লড়বে।

ইল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রথমবারের মতো উঠলো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। এর আগে তিনবার শেষ চার থেকে বিদায় নিয়েছিল দলটি। অন্যদিকে এবারের আসরে সেমিফাইনালের আগে একমাত্র অপরাজিত দল ইংল্যান্ড প্রতিটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করলেও আজ পাকিস্তানের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে যায়। ব্যাটিং-বোলিং- কোনো বিভাগেই দলটি ঝলসে উঠতে পারেনি।

বুধবার কার্ডিফে প্রথম সেমিফাইনালে টস হেরে ফিল্ডিং নিয়ে পাকিস্তান ৪৯.৫ ওভারে ইংল্যান্ডকে ২১১ রানে অলআউট করে। পরে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়। পাকিস্তানের পক্ষে আজহার সর্বোচ্চ ৭৬ রান সংগ্রহ করেন। জামান ৫৭ আর বাবর ৩৮ রান করেন।

বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় এ ম্যাচ শুরু হয়। শুরু থেকে খুব সাবধানী ব্যাট করছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু পাকিস্তানের বোলাররাও কম যায়নি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির প্রথম সেমিফাইনালে বুধবার সমানে সমান লড়ছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। কিন্তু স্বাগতিকদের মিডল অর্ডার খুব সুবিধা করতে পারেনি।

জনি বেয়ারস্টো শুরু থেকে সতর্ক ছিলেন। তার সঙ্গে আরেক ওপেনার অ্যালেক্স হেলস ছিলেন ধীরস্থির। কিন্তু বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৩ রানে রুম্মন রইসের শিকার হেলস। তবে জো রুটকে নিয়ে দেখেশুনে খেলতে থাকেন বেয়ারস্টো। ১৬ ওভারে ১ উইকেটে ৮০ রান করেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে বেয়ারস্টোকে ৪৩ রানে মোহাম্মদ হাফিজের ক্যাচ বানান হাসান আলী।

এ দুই উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের রানের গতি আরও মন্থর হয়ে পড়ে। ২০ রানের ব্যবধানে রুট, এউইন মরগান ও জস বাটলারের মতো তিন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান সাজঘরে গেলে চাপটা বেড়ে যায় স্বাগতিকদের। রুট ৪৬ রানে সাদাব খানের কাছে থামেন। ৩৩ রানে হাসানের দ্বিতীয় শিকার মরগান। বাটলারকে ৪ রানের বেশি করতে দেননি জুনাইদ খান। এ পেসার মঈন আলীকেও (১১) সাজঘরে পাঠালেন তার আরেক ওভারে। সর্বশেষ আদিল রশীদ হয়েছেন রান আউট।

হাসান তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন বেন স্টোকসকে (৩৪) ফিরিয়ে। লিয়াম প্লাঙ্কেট ৯ রানে আউট হন রইসের বলে। ১ বল বাকি থাকতে শেষ উইকেটটিও হারায় ইংল্যান্ড। মার্ক উড হন রান আউট।

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন হাসান। ২টি করে পান রইস ও জুনাইদ।