ফিল্টারযুক্ত বিড়ির মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব

সব ধরনের বিড়ির মূ্ল্য না কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবারের বাজেটে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির ক্ষেত্রে ২০ শলাকার প্যাকেটের মূল্য ১২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ জুন) সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করে এ প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত   ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গত বছর আমরা ঠিক করেছিলাম যে, বিড়ি উৎপাদন ২/৩ বছরের মধ্যে নি:শেষ করা হবে। এদেশ থেকে তামাক নি:শেষ করার সীমানা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সাল নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিড়ির উৎপাদন ২০৩০ সালে এবং সিগারেটের উৎপাদন ২০৪০ সালে নি:শেষ করার সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি।

মুহিত  বলেন, সিগারেট শিল্প যেভাবেই হোক একটি লাভের খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমার মনে হয় তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার উদ্যোগের সঙ্গে দেশীয় উচ্চমানের ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম একসঙ্গে চলতে পারে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের কাজ হচ্ছে ১. নিম্নমানের সিগারেট উৎপাদন বন্ধ করা নির্ধারণ ২. মূল্যসীমা নির্বিশেষে এক করহার নির্ধারণ ৩. বিশ বছরের জন্য একটি দেশীয় ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা।

আগামী বছর নিম্মতম স্তরের সিগারেটের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ৩২ টাকা বা তার চেয়ে বেশি। এবং সেখানে সম্পুরক শুল্ক ধরা হয়েছে ৫৫ শতাংশ। মধ্যম স্তরের ১০ সলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৪৮ টকা এবং সম্পুরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ। উচ্চ স্তরের ১০ সলাকার সিগারেটের মূল্য হবে ৭৫ টাক ও ১০১ টাকা। এবং এখানে সম্পুরক শুল্ক হবে ৬৫ শতাংশ।

অন্যদিকে শুল্ক করের আপাতন বৃদ্ধি করার জন্য গুল ও জর্দার প্রতি ১০ গ্রামের জন্য ২৫ নির্ধারণ করার সুপারিশ করা হয়েছে। যেখানে সম্পুরক কর হবে ৬৫ শতাংশ।

আরজেড/