ফের আইপিও কোটার আশায় ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা

২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরদের জন্য ইনিশিয়াল পাবলিক অফারে (আইপিও) কোটা সুবিধা পাঁচ দফা সময় বাড়ানোর পরও ফের সময় বৃদ্ধি চান তারা। আইপিও সুবিধার সময় বাড়ানোর সপক্ষে তাদের যুক্তি হচ্ছে -আর্থিক ক্ষতির রেশ এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা।

এদিকে আইপিও’তে সরকার ঘোষিত কোটা সুবিধার মেয়াদ চলতি ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়ে যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীদের দাবির মুখে পাঁচ দফা সময়সীমা বাড়ানোর পর এবার আর সময় বাড়ানো হবে না বলে এর আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছে সরকার। তারপরও নতুন আশার বাণী শোনার অপেক্ষায় সরকারের মুখপানে তাকিয়ে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে পুঁজিবাজার ধসে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ২০১২ সাল থেকে আইপিও কোটা সুবিধা ভোগ করে আসছেন। এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত আবেদনকারীর তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়া হয় কমিশনে। এতে ৯ লাখ ৩৩ হাজার ২৮০ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীকে কোটা সুবিধার আওতায় নেওয়া হয়। তালিকায় রয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ২০৪ ব্রোকারেজ হাউজের সাত লাখ ৩৯ হাজার ৮৮৩ জন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ১০৩টি ব্রোকারেজ হাউসের এক লাখ ৫৪ হাজার ২৭৭ জন এবং ২৫ মার্চেন্ট ব্যাংকের ৩৯ হাজার ১২০ জন।

শুরুতে ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৮ মাসে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর প্রথম দফায় ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আইপিও কোটার মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই মেয়াদ শেষ হওয়ার পর সাধারণ বিনিয়োগকারীর দাবির প্রেক্ষিতে এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০১৫ পর্যন্ত করা হয়। তৃতীয় দফায় ২০১৬ সালের জুন ও চতুর্থ দফায় ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ এর মেয়াদ বাড়ানো হয় চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বিষয়টি নিয়ে বিএসইসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমরা চাই বিনিয়োগকারীদের কোটা সুবিধা অব্যাহত থাকুক। কিন্তু এর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। ইতোমধ্যে এই কোটার মেয়াদ পঞ্চমবার বাড়ানো হয়েছে। শেষবার সময়সীমা বাড়ানোর সময় সেখান থেকে বলা হয়েছিল ভবিষ্যতে আর মেয়াদ বাড়ানো হবে না। তাই বিষয়টি নির্ভর করছে মন্ত্রণালয়ের ওপর।

আজকের বাজার : এলকে ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭