ফের সক্রিয় সাইবার হামলাকারীরা, অর্থ চুরির চেষ্টা

ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে সাইবার হামলাকারীরা। এ সপ্তাহেই তারা মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অর্থ চুরির চেষ্টা করেছে। তবে এক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নিশ্চিত হওয়া যায় নি মালয়েশিয়ার ব্যাংক থেকে চুরি করা অর্থ বাংলাদেশি রাজকোষ চুরির মতো কোনো উপায়ে ফিলিপাইনে স্থানান্তর করা হয়েছে কিনা।

বিষয়টি টের পেয়েছে মালয়েশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ‘ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া’। তারা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি অবহিত করেছে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকো সেন্ট্রাল নগা ফিলিপিনাস (বিএসপি) গভর্নর নেস্তর এস্পেনিলা জুনিয়রকে।

ফলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফিলিপাইনের সব ব্যাংকিং খাতকে সতর্ক করেছেন। এর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিলিপাইনের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে স্থানান্তর করে ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকে। তা নিয়ে সারা দুনিয়া তোলপাড় হয়।

এবারের ঘটনায় এস্পেনিলা বলেছেন, ব্যাংক নেগারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং সম্প্রদায়ের কাছে বিষয়টি জানিয়েছে। এক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা আমাদের সব ব্যাংকিং খাতকে সতর্ক করেছি। আন্তর্জাতিক প্রটোকলের অধীনে আমরা আছি।

তবে তিনি বলেছেন, প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে তাতে অর্থ চুরি করে তা ফিলিপাইনে সফলতার সঙ্গে স্থানান্তরের ইঙ্গিত মিলছে না। বৃহস্পতিবার দিনশেষে একটি বিবৃতি দিয়েছে ব্যাংক নেগারা মালয়েশিয়া। তাতে সুইফট ম্যাসেজ ব্যবহার করে তাদের অর্থ স্থানান্তরের মতো সাইবার হামলার ঘটনা সনাক্ত করতে পেরেছে তারা।

পরে বলা হয়েছে তা থামানো গেছে। তবে ততক্ষণে অর্থ চুরি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত নয়। ফিলিপাইনের গভর্নর নেস্তার এস্পেনিলা জুনিয়র বলেছেন, লম্বা ছুটির সুবিধা নিচ্ছে হ্যাকাররা। একই ঘটনা ঘটেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরির সময়েও। লম্বা ছুটির সময় হ্যাকাররা সুইফট কোড ব্যবহার করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছিল।

এস/