ফোরজি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) দেশে ফোরজি সেবা চালু করতে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি নিলাম ও ১৪ ফেব্রুয়ারি লাইসেন্স ইস্যুর পরিকল্পনা ঘোষণা করলেও তাতে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারি এক আদেশে নিলামসহ ফোরজি লাইসেন্স প্রদান সংক্রান্ত সব ধরনের উদ্যোগ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ওয়াইম্যাক্স অপারেটর বাংলালায়নের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত।

অপারেটরটির আইনজীবী ড. কামাল হোসেনের সহকারী ব্যারিস্টার শাওন জানান, বাংলালায়ন আদালতে এ বিষয়ে রিট দায়ের করে। তাদের দাবি, ওয়াইম্যাক্স এক ধরনের ব্রড ব্যান্ড সেবা। তাদের লাইসেন্স দেওয়ার সময় বিটিআরসি জানিয়েছিল দেশে আর কোনো ব্রড ব্যান্ড লাইসেন্স দেওয়া হবে না। আর ফোরজিও ব্রড ব্যান্ড সেবা। তাই বিটিআরসি তার নিজের নিয়মই ভাঙছে।

এর আগে গত বছরের চার ডিসেম্বর বিটিআরসি ফোরজি এলটিই সেলুলার মোবাইল ফোন সার্ভিসের লাইসেন্সের জন্য প্রস্তাব আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এ অনুসারে আগামী ১৪ জানুয়ারি প্রস্তাব জমা দেওয়ার দিন ছিল। তবে ওই বিজ্ঞপ্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বাংলা লায়ন কমিউনিকেশনস লিমিটেড গতকাল বুধবার হাইকোর্টে রিট করে। আজ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়।

ব্যারিস্টার শাওন জানান, ২০০৮ সালে বিটিআরসির এক নীতিমালার দুইটি নীতির পরিপন্থী ওই বিজ্ঞপ্তিটি। কেননা ২০০৮ সালের নীতিমালার ৪.০২ নীতি অনুসারে তিনজনের বেশি এ লাইসেন্স (বিডব্লিউএ, ফোরজি) দেওয়া যাবে না। সরকারকে একটি দেওয়া যাবে। ৪.৬ (৩) নীতি অনুসারে মোবাইল ফোন অপারেটররা এ জন্য যোগ্য হবে না। ২০০৮ সালের ওয়ারলেস ব্রডব্যান্ড নীতিমালার ওই দুই নীতি উপেক্ষা করেই ফোরজি লাইসেন্সের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই আদেশ দেন।

রুলে দরপত্র আহ্বানের নোটিস ওই দুটি নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আজকের বাজার:এলকে/ ১১ জানুয়ারি ২০১৮