ফ্রান্স-ইংল্যান্ড দলে কেন এত আফ্রিকান ফুটবলার: ক্ষুব্ধ ম্যারাডোনা

কলম্বিয়া-ইংল্যান্ড ম্যাচে ‘হ্যান্ড অব রেফারি’ মন্তব্যে ব্যাপক বিতর্কে জড়িয়েছিলেন আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা। গোল্ডেন বুটপ্রত্যাশী হ্যারি কেনসহ ইংল্যান্ডের অন্যান্য খেলোয়াড়কেও এক হাত নিয়েছিলেন তিনি।

এভাবেই একের পর এক তোপ মেরেই যাচ্ছেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না তাকে। তার আচরণ ও বক্তব্যের পর ভাষা সংযতও করতে বলেছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।

এবার ম্যারাডোনা মন্তব্য করেছেন ইউরোপের তিন সেমিফাইনালিস্ট ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামকে নিয়ে।

আজ বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম মুখোমুখি।

দুটি দলেরই সেরা খেলোয়াড়দের জিনে রয়েছে আফ্রিকার ছোঁয়া। এ বিষয়টিকেই তুলে এনে কড়া সমালোচনা করেছেন ম্যারাডোনা। তিনি বলেন, ‘আফ্রিকান ফুটবলারদের ইউরোপে নিয়ে যাওয়া হয়। তাতে ফুটবলারদেরও সম্মতি থাকে। এতে ফুটবলাররা উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ পায়। নিজেদের প্রমাণের সুযোগ ও দিনে চার বেলা খাবারের নিশ্চয়তা তো আছেই।’

এভাবে আফ্রিকার ফুটবলারদের ইউরোপের দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে খেলানোয় রেগেছেন ম্যারাডোনা।

সামাজিকমাধ্যমেও এ বিষয়টি নিয়ে বইছে তুমুল ঝড়। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, বেলজিয়াম স্কোয়াডে অতিরিক্ত আফ্রিকান ফুটবলারের উপস্থিতি নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

অনেকে তো ১৯৯৮ সালের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে ‘আফ্রিকান দল’ বলে অভিহিত করেছেন।

দেখা যাচ্ছে, ফ্রান্সের ২৩ সদস্যের মধ্যে ১৪ জনই আফ্রিকান বংশোদ্ভূত! ফ্রান্সে আফ্রিকার ১১ দেশের বংশোদ্ভূত ফুটবলার রয়েছেন। আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, কঙ্গো, সেনেগাল ও নাইজেরিয়ার ফুটবলারদের নিয়েই ফ্রান্স।

দলের সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্ম ফ্রান্সে হলেও তার বাবা ক্যামেরুনিয়ান ও মা আলজেরীয়। আরেক সেরা তারকা পল পগবার বাবা-মা আফ্রিকার গিনির বাসিন্দা।

ইংল্যান্ড ও বেলজিয়ামেও রয়েছেন এমন আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ফুটবলার।

আজকের বাজার/আরআইএস