বরিশালকে আইসিটি শিক্ষায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে ২২৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন

প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আইসিটি শিক্ষায় নিজেদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে বরিশালে প্রায় ২২৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্র জানায়, জেলার সদর উপজেলাসহ নগরীর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় প্রায় ৪৮টি ও জেলার বাকি ৯টি উপজেলায় ১৭৮টি সর্বমোট ২২৬টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকার এ খাতকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সর্বব্যাপী প্রয়োগ ও ব্যবহারে কারিগরি সহায়তা নিশ্চিত করনের লক্ষ্যে কাজ করছেন ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তর’।

সংশ্লিষ্ঠ সূত্র আরো জানায়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা সমূহ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো, অবকাঠামো নিরাপত্তা বিধান, রক্ষণাবেক্ষণ, বাস্তবায়ন, সম্প্রসারণ মান নিয়ন্ত্রণ ও কম্পিউটার পেশাজীবীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জেলার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ই-সার্ভিস প্রদান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন তহবিল (জেওবি)-এর অর্থ্যায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্ত।
এ বিষয়ে বরিশাল কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ-এর অধ্যক্ষ প্রফেসর খোন্দকার অলিউল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠানটির শতভাগ মাল্টিমিডিয়া (ইন্টারএকটিভ বোর্ড) ক্লাস রুমসহ সার্বিক একাডেমিক কার্যক্রম নগরবাসীকে আকৃষ্ট করেছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে আইটি নির্ভর বর্তমান বিশ্বের জন্য দক্ষ করে গড়ে তুলতে নিয়মিত হাতে কলমে মাইক্রোসফট অফিস, ওয়েব ডিজাইনিং ও প্রোগ্রামিং এর মত বিষয়গুলো পাঠদান করা হয়।
এব্যপারে জেলা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্ত’র প্রোগ্রামার মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, এসএসসি ও এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীদের আইটি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ২২৬ টি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি প্রশিক্ষনার্থীদের মেন্টরিং, কোচিং ও মনিটরিং এর জন্য সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

এ প্রসঙ্গে আলাপকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মনদীপ ঘরাই বলেন, প্রটিটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানমুখী, দক্ষতা নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে আধুনিক প্রযুক্তি, সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও গণিত বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে হবে। তা না হলে তারা পিছিয়ে পড়বে।
তিনি আরো বলেন, আধুনিক বিশ্বে নিজেদের এগিয়ে নিতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই অন্যান্য শিক্ষার পাশাপাশি প্রোগ্রামিং ও কোডিং শিক্ষা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে। তাহলেই শিক্ষার্থীরা আইসিটিতে সফলতা বয়ে আনতে সক্ষম হবে। (বাসস)