বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন । তিনি বলেছেন, সরকার তাদের ইচ্ছা পূরণে ইসিতে তাদের পছন্দমত লোক বসিয়েছে। যাতে করে আবারও একতরফা ক্ষমতায় আসতে পারে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন মেরুদণ্ডহীন। তাদের সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতাই নেই। তারা সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে।
বুধবার সকালে শ্রমিক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আসা দরকার। আমরা আগেও বলেছি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন সরকারের ইচ্ছা পূরণে কাজ করছে। তাদের দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। উটপাখি যেমন ঝড় আসলে বালুর মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে মনে করে ঝড় তাদের আঘাত করবে না, এ ইসির অবস্থাও ঠিক তেমনই। তারা মনে করে নিরপেক্ষ নির্বাচন না করলে জনজোয়ার তাদের আঘাত করবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমস্যার সমাধান হওয়ার আগে তফসিল ঘোষণা কখনই জনগণ মেনে নেবে না। সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও একই বিষয় কাজ করছে। সরকার যে নির্দেশ দিচ্ছে কমিশন তাই বাস্তবায়ন করছে। তাদের নিজস্ব কোনো চিন্তা ভবনা নেই। জনগণের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সীমানা নির্ধারনের যে নিয়ম রয়েছে সেটিও তারা পালন করছে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার সব সময় চেষ্টা করেছে দেশের প্রধান বিরোধী দলকে দূরে রেখে, খালেদা জিয়াকে বাহিরে রেখে একতরফা নির্বাচনের। কারণ তারা পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার জায়গা নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিশ্চিত বিরোধী দল নির্বাচনে গেলে তাদের ভরাডুবি হবে। সে জন্য একতরফা নির্বাচনের জন্যই এ কমিশন গঠন করেছে। যাতে তাদের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসতে পারে। কিন্তু এটি কখনও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবো না আমরা আগেই বলেছি।’
সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গাজীপুরের এসপি হারুণকে সরানোর জন্য আমরা চিঠি দিয়েছিলাম কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। উল্টো আমাদের জোটের ৪৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এমনকি যিনি মেয়র পদে দাঁড়িয়েছিলেন তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এসব কারণে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে এটি মনে করার কোনো কারণ আমি দেখছি না।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ রাজনীতিকে একটি ভয়াবহ অন্ধকার গহ্বরের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে, জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা পাকাপোক্ত করতেই সরকারের এ প্রচেষ্টা।
এ সময় দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিমসহ শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
