বর্ধিত আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার চায় ১৪ দল

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এই আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দল।

৪ জুন রোববার ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম।

বৈঠক শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জনগণের সুবিধার কথা চিন্তা করে বাজেটের কিছু বিষয়ে সংশোধনী দরকার বলে মনে করে ১৪ দল। এর মধ্যে ব্যাংকের আবগারি শুল্ক, সারচার্জ প্রত্যাহার করা অন্যতম। জনমনে প্রতিক্রিয়া ফেলে এমন অংশ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাজেট পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি, সার্বিকভাবে ভালো হয়েছে। তবে কিছু ত্রুটি আছে। এই বাজেটের যে সব ত্রুটি আছে- সেগুলোকে অর্থমন্ত্রী পুনর্বিবেচনা করবেন বলে ১৪ দল আশাবাদী। তিনি বলেন, ১ জুন অর্থমন্ত্রী যে বিশাল বাজেট আমাদেরকে উপহার দিয়েছেন, এর জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই। এ বাজেট দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।

গত ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাতে বছরের যেকোনো সময় ব্যাংক হিসাবে এক লাখ টাকার বেশি লেনদেনে আবগারি শুল্ক ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে।

এছাড়া ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ২ হাজার ৫০০ টাকা; ১ কোটি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ৭ হাজার ৫০০ টাকার বদলে ১২ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি লেনদেনে ১৫ হাজার টাকার বদলে ২৫ হাজার টাকা আবগারি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

আবগারি শুল্ক বাড়ানোর এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন সাধারণ নাগরিকরা। পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা আবগারি শুল্কের বিষয়ে একই মন্তব্য করেছেন। তারা বলছেন, আবগারি শুল্ক বাড়ানো হলে ব্যাংকিংয়ের বিকল্প অনানুষ্ঠানিক লেনদেনের মাধ্যমকে উৎসাহিত করা হবে।

তবে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকে যাদের এক লাখ টাকা রাখার সামর্থ্য আছে তারা সম্পদশালী। তারা বাড়তি ভারটা বহন করতে পারবেন;সমস্যা হবে না।

জাসদের একাংশের সভাপতি শরিফ নুরুল আম্বিয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে/ ০৪ জুন ২০১৭