বর্ষায় রোহিঙ্গাদের জন্য ভারতের সহায়তা চায় বাংলাদেশ

বর্ষা মৌসুমে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্যোগময় পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশংকা রয়েছে। আর এ সময় যে কোনো সংকট মোকাবেলা করে রোহিঙ্গাদের বাঁচাতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

রোববার সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের সাথে বৈঠককালে মন্ত্রী এ সহায়তা চান। ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষ বর্ধন শ্রিংলাকে ত্রাণ মন্ত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

বৈঠক শেষে ত্রাণমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বর্ষা মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অর্থাৎ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সেটা জানাচ্ছে।দেশের গণমাধ্যমেও এ খবর প্রচারিত হয়েছে।এ মৌসুমে যে কোনো দূর্যেোগময় পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে ভারতসহ আন্তর্জাতিক সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বর্ষাকালে বৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড় হতেই পারে।এ ধরণের পরিস্থিতি যদি হয় তবে লোকগুলোকে (রোহিঙ্গা) কীভাবে বাঁচানো যায়, তারা যাতে কষ্ট না পায়, আরামে থাকতে পারে- সেসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।’

মায়া বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১২ লাখ শরণার্থীদের মধ্যে ৩০ হাজার গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন। আমরা চিহ্নিত করেছি যদি অতি বৃষ্টি হয় সেখানে লাকড়ির অভাব হবে, তখন হয়তো তারা রান্না-বান্নাই করতে পারবেন না; সেজন্য শুকনো খাবারের কথা আমরা ভারতকে বলেছি। শুকনো খাবার হলে অন্তত বর্ষা মৌসুমে বাচ্চা ও মহিলাদের কষ্ট লাঘব হবে। সেটা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’

বৈঠক প্রসঙ্গে হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানান, ‘আজকের আলোচনায় বাংলাদেশের ত্রাণ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্ষা মৌসুমে  বাংলাদেশের কক্সবাজার এলাকায় সাধারণত অতিবৃষ্টি হয়। যেটা শরণার্থী ক্যাম্পের সমস্যাকে আরও প্রকট করে তুলতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে এ সমস্যাগুলো নিরসনে কাজ করতে পারে- সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিয়ে মানবিক এ সঙ্কট মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা দিতে ভারত  সবসময় প্রস্তুত আছে। ’

এমআর/