বাংলাদেশই ফেভারিট : তামিম

এই বছরের মাঝে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে আয়ারল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলল বাংলাদেশ। সেখানে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে হারানোর স্বাদ মিলেছে। এবার দেশের মাটিতে আরেকটি ট্রাই-সিরিজ। তবে দুই প্রতিপক্ষকে খুব শক্তিশালী বলা যাচ্ছে না। র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার এক ধাপ ওপরে। সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার আগের সেই শক্তিও নেই। তবে ফেলনাও নয় তারা। ওদিকে আর জিম্বাবুয়েও বর্তমানে শক্তির বিচারে অনেক পিছিয়ে। তবে টাইগাররা খেলবে ঘরের মাঠে, নিজেদের কন্ডিশনে। যেখানে এখন যে কোনো দলের জন্য খুবই বিপজ্জনক প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। তাই আসন্ন ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশেরই ফেবারিট থাকা উচিৎ বলে মনে করেন দলের অন্যতম সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান।

‘আমার কাছে মনে হয়, খুবই আকর্ষণীয় একটা সিরিজ হবে। অন্য যে দুইটা দল আছে, দু’দলই ভালো। শ্রীলঙ্কা ভালো দল। এছাড়া জিম্বাবুয়েও তাদের দিনে ভয়ঙ্কর হতে পারে। বাংলাদেশে খেলা, আমাদের হোমগ্রাউন্ড। সুতরাং আমাদেরই ফেবারিট হওয়া উচিত। আমার কাছে মনে হয়, গত দুই তিন বছরে আমরা যে রকম সিরিজ খেলে এসেছি, বিশেষ করে দেশের মাটিতে; আমাদের আসলে ফেবারিট হওয়া উচিত।’- জানুয়ারির ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশকে ফেবারিট মেনে রোববার এমনটাই বললেন তামিম।

তবে নতুন যুগে পা রাখার আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের ফলাফল খুব একটা ভালো নয়। এখন পর্যন্ত কোনো শিরোপার মুখ দেখেনি টাইগাররা। তবে এবার ভিন্ন কিছুই হবে বলে আশার জাল বুনতে শুরু করেছেন দেশের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম, ‘আমরা অবশ্য খুব বেশি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলিনি। তবে একবার ফাইনাল খেলেছিলাম। এটা একটা দারুণ সুযোগ হয়ে আসছে। যে দুই প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলা হবে, তাদেরকে আমরা ভালোভাবে চিনি। ওদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জানি। ওরাও আমাদের সম্পর্কে জানে অবশ্য। আমরা আরো যে ক’দিন অনুশীলনের সুযোগ পাবো, এই দিনগুলো আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করবো এই ক’দিনে আমরা দারুণ একটা প্রস্তুতি নিতে পারবো।’

ত্রিদেশীয় সিরিজের বাকি দুই দল শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ে খেলবে বাংলাদেশের সাবেক দুই কোচের অধীনে। জিম্বাবুয়ের দায়িত্বে আছেন টাইগারদের সাবেক বোলিং কোচ হিথ স্ট্রিক। আর শ্রীলঙ্কার দায়িত্বে সদ্য সাবেক হওয়া কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। তাই বাংলাদেশের শক্তি সম্পর্কে খুব ভালো করেই জানেন তারা। তবে এ নিয়ে ভাবতেই রাজি নন তামিম, ‘এটা নিয়ে যদি ভাবি, তাহলে এটা হয়তো একটা বড় ব্যাপার। তারা তিন-চার বছর বাংলাদেশে ছিলেন। তবে আমরা যদি না ভাবি, আমার মনে হয় না এটা কোনো বড় ব্যাপার। কারণ দিনশেষে আপনি পরিকল্পনা দিতে পারেন, কিন্তু মাঠে তা প্রয়োগ না করতে পারলে তাতে কোনো লাভ নেই। তা কাজে আসবে না। আমরা যদি কোচের পরিকল্পনা প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে অবশ্যই আমরা ভালো করবো।’
আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। প্রথম দিনই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা। ২৭ জানুয়ারি ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে এ টুর্নামেন্ট।

আজকের বাজার: সালি / ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭