বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে আরিফুলকে ভোট দিন

মানবতার সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের স্বীকৃতিস্বরূপ এসওএস শিশু পল্লী ইন্টারন্যাশনাল ‘হারম্যান মেইনার এ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করে।  প্রতি দই বছর পরপর এ এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মানবতার সেবায় যারা নিজেদের বিলিয়ে দেন তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৪ জনের মধ্যে ভোটের ব্যবস্থা করা হয়, সর্বোচ্চ ভোটের অধিকারীকে দেয়া হয় হারম্যান মেইনার এ্যাওয়ার্ড।

২০১৮ সালে বাছাইকৃত ৪ জনের মধ্যে ১ জন বাংলাদেশিও আছেন, তিনি কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলার ডা. মোহাম্মদ আরিফুল হক (৩১)। সাভারের গণস্বাস্থ্য সমাজ ভিত্তিক মেডিকেল কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী তিনি।

আপনার একটি মূল্যবান ভোট আরিফুলকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সহায়তা করবে। তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা হলে বাংলাদেশেরই জয় হবে। বিশ্ব জানবে মানবতার সেবায় বাঙালিরাও পিছিয়ে নেই, দেশের উজ্জল ভাবমূর্তি আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। ভোট দেওয়া যাবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

ভোট দিতে এই লিংকে ক্লিক করুনঃ www. sos-childrensvillages.org/hermann-gmeiner-award-2018

এমবিবিএস শেষে ২০১৬ সালে মিশরে পাড়ি জমান ডা. মোহাম্মদ আরিফুল হক। বর্তমানে মিশরের কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাসার এল আইনী মেডিকেল স্কুলে অর্থোপেডিক সার্জারীতে মাষ্টার্স করছেন তিনি।

এসওএস শিশু পল্লীতে বড় হওয়া ডা. আরিফ তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। স্কুল জীবন থেকে শুরু করে মেডিকেল জীবনের প্রায় পুরোটা অংশ কোন না কোনভাবে মানব সেবায় নিয়োজিত ছিলেন।

প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে (সিডর, আইলা) মানুষের পাশে থেকে দূঃখ দুর্দশা লাঘব করেছেন। ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসে আটকে পরা মানুষদের উদ্ধারে এবং পরবর্তীতে চিকিৎসা সেবায়ও অংশগ্রহণ করেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যার কথা শোনা মাত্র নিজের মাসিক খরচ ব্যয়ে উড়ে চলে আসেন উখিয়ায় । সেখানে রোহিঙ্গা শিবিরের দুস্থ, অসুস্থ প্রায় ১২০০ শিশু ও বৃদ্ধদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সাথে মিলে।

দেশের পাশাপাশি মানবতার ডাকে সাড়া দিয়েছেন বিদেশ এবং বিদেশিদের জন্যও।

২০১৫ সালের ভূমিকম্পে ক্ষত-বিক্ষত নেপালের জন্য সাহায্য তুলেছেন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে। শিশু ও মাতৃ মৃত্যু হারে পাকিস্তান যখন দিশেহারা তখন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা  ডা. জাফরুল্লাহর চৌধুরীর সাথে গমন করেন পাকিস্তান। তাদের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কাজ করে অত্যন্ত সুনামের সাথে ফিরে আসেন।

এখানেই থেমে থাকেন নি। মিশরে গিয়েও প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে বর্তমানে কায়রোতে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের জন্য ফ্রি ফ্র্রাইডে ক্লিনিক চালু করেছেন। যেখানে তিনি নিয়মিত ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন, তাঁর সেবা গ্রহণ করেছেন প্রায় ৪০০ বাঙালি বৃদ্ধ ও ২০০ বাঙালি শিশু। মিশরে অবস্থিত প্রবাসীদের জন্য চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে তার দরজা সব সময় খোলা।

ডা. মোহাম্মদ আরিফুল হক জানান, স্বাস্থ্য সেবার মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। সাধারণ মানুষের জন্য এমন একটি হাসপাতাল করতে চান যেখানে স্বল্প খরছে সর্বাধুনিক সেবা পাওয়া যাবে। তিনি বাংলাদেশের অর্থোপেডিক সমস্যা সমাধানে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে চান।

উল্লেখ্য; আত্নপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সমাজের জন্য উদাহরণ সৃষ্টিকারি এমন মহিলা ও পুরুষদের প্রতি দুই বছরে হারম্যান মেইনার এ্যাওয়ার্ড এ ভূষিত করা হয়। বিশ্বব্যাপী মনোনয়ন এর মাধ্যমে সারা পৃথিবী থেকে ৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারীকে নির্বাচিত করা হয়।

রনি/রাসেল