বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলারটি কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটে সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মুনিরুজ্জামান। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। আর ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-বিএবি’র পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক।
অর্থ বিভাগের আবেদনে গত ৮ জুলাই আপিল বিভাগ ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের ওপর হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ শর্তসাপেক্ষে দুই মাসের জন্য স্থগিত করে। আদেশে আপিল বিভাগ বলে দেয়, কোনো ব্যবসায়ী এই সুবিধা নিলে দুই মাসের মধ্যে তিনি আর অন্য কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন না। সেই সঙ্গে হাইকোর্ট যে রুল জারি করেছিল, তা নিষ্পত্তির জন্য এ হাইকোর্ট বেঞ্চকে বলা হয়।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) আবেদনে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ব্যাংক খাতে অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ অনুমোদনে অনিয়ম, সুদ মওকুফ সংক্রান্ত বিষয় তদন্ত ও সুপারিশ প্রনয়নে কমিশন গঠন বিষয়ে যে রুল জারি হয়েছিল সেটি শুনানির জন্য বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সেই রুলটি শুনানির এক পর্যায়ে একটি সম্পূরক রুলের জন্য আরেকটি আবেদন করেছিলাম। আজকে সেটির উপরও শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে ঋণ খেলাপিদের বিশেষ সুযোগ দিয়ে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা সার্কুলার কেন বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না-মর্মে আজ রুল জারি করেছে আদালত। ১০ দিনের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আগামী ৩১ জুলাই পরবর্তী শুনানির তারিখ রাখা হয়েছে বলে জানান রিটকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ।