‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের’ নির্মাণকাজ উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের পার্বতীপুর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির সরকারি দপ্তর সাউথ ব্লক থেকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার গণভবন থেকে এই পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

এই পাইপলাইনের ১২৫ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশে, আর ভারতের অংশে পড়েছে বাকি ৫ কিলোমিটার। ২২ ইঞ্চি ব্যাসের এই পাইপলাইন দিয়ে বছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন তেল সরবরাহ করা যাবে।

তবে পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রথম তিন বছর ২ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা হবে। পর্যায়ক্রমে এ সরবরাহের পরিমাণ বেড়ে শেষ পাঁচ বছর ৪ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত করা হবে। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী ভবিষ্যতে প্রয়োজনে জ্বালানি তেলের আমদানি এই পাইপলাইনের মাধ্যমে আরো বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

ভিডিও কনফারেন্সে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ঋণের টাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনের তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এবং পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ চালু হয়ে গেলে জ্বালানির দাম অনেক কমে যাবে।

তিনি বলেন, ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর তৃতীয়-চতুর্থ এবং পঞ্চম ডুয়েল-গেজ রেললাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে এক দিকে যেমন ঢাকার ওপর চাপ কমবে তেমনি যাতায়াতের গতি বাড়বে। এতে ভারত-বাংলাদেশ উভয়েই উপকৃত হবে।

এসময় তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে ভারতের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতাও কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক একটি পরিবারের মতো।

তিনি বলেন, মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানের মাথায় বাংলাদেশের সঙ্গে এটি দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স। ভৌগোলিকভাবে আমরা প্রতিবেশি দেশ। কিন্তু চিন্তা-ভাবনার দিক থেকে আমরা পরিবার। সুখে-দুঃখে একজন আরেকজনের পাশে দাঁড়ানো। বিকাশে একজন আরেকজনের দিকে হাত বাড়িয়ে দেয়া। সীমান্ত বিরোধ এবং উন্নয়নের জন্য নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপসহ সব বিষয়ে আমরা এগিয়ে গেছি। এসব কিছুর ক্রেডিট আমি আপনার (শেখ হাসিনা) সঠিক নেতৃত্বকে দিতে চাই।

মোদি বলেন, আজ বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের কাজ শুরু হলো। উন্নয়ন ও বিকাশের নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো। বাংলাদেশের আর্থিক ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের সম্পর্ককেও আরও উন্নত করবে এই পাইপলাইন। কাজ শেষ হলে এটি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে দিয়ে দেয়া হবে।

আজকের বাজার/এমএইচ