বাজারের গতি ফেরাতে বিএসইসি’র নজীরবিহীন সিদ্ধান্ত

পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় নজীরবিহীন কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ।

গতকাল ২৯ এপ্রিল সোমবার সন্ধ্যায় স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিএসইসি।

এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্তগুলো হলো : এখন থেকে আইপিও ছাড়া ক্যাপিটাল রেইজিংয়ের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন লাগবে না। শুধুমাত্র প্র্রাথমিক গণপ্রস্তাাবের (আইপিও) ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন প্রয়োজন হবে। এক্ষেত্রে যেসব কোম্পানি ফিক্সড প্রাইসের আইপিও আনতে আগ্রহী হবে, সেসব কোম্পানির নূন্যতম ৫০ কোটি টাকা মার্কেট থেকে উত্তোলন করতে হবে। আর বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে নূন্যতম ১০০ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করার সক্ষমতা থাকতে হবে।

বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এখন থেকে প্লেসমেন্টর জন্য বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না। কোম্পানি নিজেই প্লেসমেন্ট করতে পারবে। তবে প্লেসমেন্টধারীরা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার হিসেবে থাকবে। প্লেসমেন্ট শেয়ার ৩ বছরের জন্য লক-ইন থাকবে।

আরো জানা যায়, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় কমিশন বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোডের (এনবিআর) সঙ্গে শিগগির বৈঠকে বসছে। বাজারের গতি ফেরাতে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কমিশন। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী’র সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএসইসি। বাজার উন্নয়নে সবকিছুই করা হবে বলে কমিশনকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া বাজার উন্নয়নে বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর প্রতিটি সংস্থাই একযোগে কাজ করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং পুঁজিবাজার সংশিষ্ঠরা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জর প্রতিনিধি, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন (ডিবিএ) এবং পুঁজিবাজার সংশিষ্ঠরা।

বৈঠকটি স্মরণকালের মধ্যে সবচেয়ে ভালো বৈঠক হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। বাজার উন্নয়নে প্রস্তাবাবগুলো বাস্তবায়ন তরান্বিত হলে বাজারে গতি ফিরবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।