বায়ার্নের হারে লেভারকুসেন ১৩ পয়েন্ট এগিয়ে গেল

আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে শনিবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ২-০ গোলে হেরে গেছে বায়ার্ন মিউনিখ। ঘরের মাঠে বরুসিয়ার কাছে প্রায় এক দশক পর হারের লজ্জা পেল বেভারিয়ন্সরা। এই সুযোগে পিছিয়ে পড়েও হফেনহেইমকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করে বুন্দেসলিগা টেবিলে ১৩ পয়েন্টের সুষ্পষ্ট ব্যবধানে নিজেদেও শীর্ষ অবস্থান শক্তিশালী করেছে বায়ার লেভারকুসেন।
অথচ লেভারকুসেনের ম্যাচের পর রাতে বায়ার্নের সামনে সুযোগ ছিল পয়েন্টের ব্যবধান কমানোর। কিন্তু কারিম আদেইয়েমি ও ডিফেন্ডার জুলিয়ান রায়ারসনের দুই অর্ধের দুই গোলে ডর্টমুন্ড দাপুটে জয় নিশ্চিত করে।
ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেনের শেষ মুহূর্তের  গোলে বায়ার্ন ফিরে আসার ইঙ্গিত দিলেও অফসাইডের কারনে তা বাতিল হয়ে যায়।
ম্যাচ শেষে বায়ার্ন কোচ থমাস টাচেল লেভারকুসেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে কি বায়ার্নের জন্য শিরোপা লড়াই শেষ হয়ে গেল, এমন প্রশ্নের উত্তরে টাচেল বলেছেন, ‘অবশ্যই, এখানে আর কোন কথা নেই, পুরো বিষয় এখন স্পষ্ট।’
বায়ার্ন ডিফেন্ডার জসুয়া কিমিচ বেশ ক্ষুব্ধ হয়ে প্রকাশ্যে দলের সমালোচনা করেছেন, ‘এই ধরনের একটি ম্যাচে কিভাবে আমরা এমন পারফরমেন্স করতে পারলাম। এটা সম্পূর্ণ রূপে হতাশাজনক। দ্বিতীয়ার্ধে মনে হচ্ছিল আমরা প্রীতি ম্যাচ খেলতে মাঠে নেমেছি। লড়াইয়ের কোন মানসিকতাই আমাদের মধ্যে ছিল না। আমাদের বাড়ি ফিরে নিজেদের প্রশ্ন করতে হবে।’
২০১৪ সালে লিগে মিউনিখের মাটিতে প্রথম লিগ ম্যাচে জয়ী হয়েছিল ডর্টমুন্ড, এরপর দীর্ঘ ৩৬৪১ দিন পেরিয়ে গেছে। ঐ সময় দলের ডাগ আউটে ছিলেন জার্গেন ক্লপ। কালকের দারুন এই জয়ে আরবি লিপজিগকে ৩ পয়েন্টে পিছনে ফেলে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
ডর্টমুন্ড কোচ এডিন টারজিক বলেছেন, ‘মিউনিখে জয় আদায় করতে আমাদের দীর্ঘ  সময় লেগেছে। আজ ভাগ্য আমাদের পক্ষে   ছিল। কিন্তু এই দিনটির জন্য আমরা সকলেই কঠোর পরিশ্রম করেছি।’
এর আগে দিনে শুরুতে ম্যাক্সিমিলিয়ান বেয়ারের গোলে ৩৩ মিনিটে হফেনহেইফ এগিয়ে গিয়েছিল। লিগে অপরাজিত থাকার রেকর্ড যখন হুমকির মুখে ঠিক তখনই ঘুড়ে দাঁড়ায় জাভি আলোনসোর দল। আরো এক বছর এই ক্লাবেই থাকার ঘোষনা দেয়া আলোনসোকে হতাশ করেনি তার শিষ্যরা। ৮৮ মিনিটে রবার্ট এ্যানড্রিচ সমতা ফেরানোর পর ইনজুরি টাইমে প্যাট্রিক শিকের ভলিতে লেভারকুসেনের জয় নিশ্চিত হয়। এবারের মৌসুমে এভাবে অনেক ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লেভারকুসেন।
এর আগে জার্মান কাপে আলোনসোর দল শেষ মুহূর্তে গোল করে অগাসবার্গ, লিপজিগম স্টুটগার্টকে এবং ইউরোপা লিগে কারাবাগকে দুইবার পরাজিত করেছে আলোনসোর দল।
ম্যাচ শেষে আলোনসো বলেছেন, ‘আমি সবসময়ই আশাবাদী ছিলাম। বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে আমরা বলেছি একটা গোল গুরুত্বপূর্ণ, ঐ গোলেই যেকোন সময় পুরো ম্যাচের চিত্র পাল্টে যেতে পারে। আমাদের মধ্যে জয়ের মানসিকতা আছে। এবারের মৌসুমে আমরা নিজেদের মধ্যে সেই মানসিকতা তৈরী করেছি।’
ডর্টমুন্ডের জয়ে সমস্যায় পড়েছে লিপজিগ। ঘরের মাঠে তারা টেবিলের নীচু সারির দল মেইঞ্জের সাথে গোল গোলশুন্য ড্র করে পয়েন্ট হারিয়েছে। যে কারনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্নে বাঁধা পড়লো।
গত এক দশকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রায় নিয়মিত খেলা লিপজিগ ও ডর্টমুন্ড এপ্রিলের শেষে রেড বুল এরেনাতে বুন্দেসলিগায় একে অপরের মোকাবেলা করবে। (বাসস/এএফপি)