বিজেপির জয়ে ইভিএম জাদু!

ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের পৌর নির্বাচনে বিজেপির কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে বিরোধী দলগুলো। আর এর জন্য তারা দায়ী করেছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমকে।

রাজ্যটির প্রধান দুই বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি এই অভিযোগ করেছে। আর তাদের বক্তব্যকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস।

দলগুলো বলছে, ব্যালটে ভোট হলে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপি অবশ্যই হারতো ।

উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেন,১৬টি পৌরসভার মধ্যে ১৪টিতে বিজেপি জিতেছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ভোট দিয়েছেন, সেই ওয়ার্ডে বিজেপি হেরেছে! উপমুখ্যমন্ত্রীর জেলাতেও বিজেপি হেরেছে। যেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে, সেখানে বিজেপি পেয়েছে ৪৭% ভোট। আর যেখানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সেখানে বিজেপি ১৫%-এ নেমে গিয়েছে। এ থেকেই বোঝা যায় যে জনসমর্থনে নয়, বিজিপি জিতেছে ইভিএম দিয়ে।

উত্তর প্রদেশের আরেক প্রভাবশালী রাজনীতিক বহুজন সমাজপার্টির নেত্রী মায়াবতী বলেন, ‘২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ইভিএমের বদলে ব্যালট পেপার ব্যবহার হলেই বিজেপি হারবে। পৌর নির্বাচনের এই ফলে প্রমাণিত হয় না যে, মানুষের সমর্থন বিজেপির দিকে। এই দাবি করতে হলে, আগে ইভিএম এর বদলে ব্যালটের লড়াইয়ে নেমে দেখাতে হবে। ভোটযন্ত্রের বদলে ব্যালটে ভোট হলে ফলাফল এ রকম হবে না।’

তবে বিরোধী দলগুলোর এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘বিরোধীরা জানে যে সাধারণ নির্বাচনে তারা জিতবে না। তাই আগে থেকেই অযুহাত তৈরি করছে। কিন্তু এসব অযুহাতে কোন কাজ হবে না।’

এর আগে ভারতের মধ্যপ্রদেশে নির্বাচনের আগে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তাতে শুধু নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির প্রতীক যুক্ত করা আছে। অন্য কোনো দলের প্রতীক নেই। ফলে ওই মেশিনে যে কেউ ভোট দিলে তা বিজেপির পক্ষেই যাবে। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের দুজন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়।

আজকের বাজার:এলকে/এলকে ৩ ডিসেম্বর ২০১৭