বিদেশি ফল রামবুটানের সম্ভাবনা

কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকলে লাল। দেখতে অনেকটা কদম ফুলের মতো। খোসা ছাড়ালে ভেতরের অংশটা স্বাদে-গন্ধে লিচুর মতো অতুলনীয়। নেত্রকোনার কলমাকান্দা, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, লাউস ও কম্বোডিয়ার জনপ্রিয় ফল রামবুটান চাষ হচ্ছে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও মিনারেল রয়েছে।
জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক ডা. উসমান গণি তার নিজ বাড়িতে ১৯৯৩ সালে রামবুটান ফলের চাষ শুরু করেন।
উসমান গণি জানান, মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন শেষে ১৯৯৩ সালে দেশে ফিরে আসার সময় তিনি পরিবারের সদস্যদের জন্য দুই কেজি রামবুটান ফল সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। ফল খাওয়ার পর বাড়ির আঙিনায় বীজগুলো ফেলে দেন। কিছুদিন পর ওই বীজ থেকে চারা গজায়। বাড়ির আগাছা পরিষ্কার করার সময় ওসমান গণির দৃষ্টিতে পড়ে রামবুটানের দুটি চারা। তখন তিনি আগ্রহী হয়ে চারা দুটির পরিচর্চা করতে থাকেন।
তিনি আরও জানান, চারা দুটি বড় হওয়ার পর ১৯৯৮ সালে প্রথম ফলন দেয়। প্রতি বছরের জুন থেকে জুলাই এই দুই মাস রামবুটান পরিপক্ব হয়ে খাওয়ার জন্য উপযোগী হয়ে ওঠে। তার বাড়িতে বর্তমানে রামবুটান গাছ রয়েছে ৪টি। এ মধ্যে রামবুটানের বড় ২টি গাছ থেকে তিনি এখন বছরে আয় করেন লক্ষাধিক টাকা।
উসমান গণি জাতীয় পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ ও পরিচর্যায় স্বীকৃতিস্বরূপ কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ২০১৪ সালে পুরস্কার লাভ করেন।
আজকের বাজার: সালি / ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭