বিমানের প্রথম ড্রিমলাইনার ‘আকাশবীণা’ এখন ঢাকায়

চতুর্থ প্রজন্মের উড়োজাহাজ বোয়িং- ৭৮৭ এরইমধ্যে দেশে পৌঁছেছে। রোববার (১৯ আগস্ট) বিকেলে আকাশবীণা নামের প্রথম ড্রিমলাইনারটি যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর মধ্য দিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স নতুন যুগের সূচনা করলো। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, আকাশ ভ্রমণে আরাম চাই? তা আছে পুরোমাত্রায়। শুধু আরামই নয়, চাইলে প্রিয়জনের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলতে পারবেন। ঘরের নগদ খবর নিতে নিতে চলে গেলেন দূরদেশে। আপনজনকে জরুরি যে কথা বলে আসা হয়নি বলে ছটফট করছিল মন, সে খেদ আর রইল না। ফুরফুরে মেজাজে নেমে গেলেন গন্তব্যে।

আকাশপথে এমন বিলাসবহুল ভ্রমণ নিশ্চিত করতে আধুনিক মডেলের নতুন উড়োজাহাজ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশ বিমান। এ জন্য বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের উড়োজাহাজকে বেছে নেয় জাতীয় পতাকাবাহী এই বিমান সংস্থা।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪৩ হাজার ফুট দিয়ে উড়ে যেতে পারবে স্টেট অব দ্য আর্ট প্রযুক্তির ড্রিমলাইনার। আকাশের এত উঁচু দিয়ে উড়বে, কিন্তু চেনা জগৎটা থাকবে নাগালেই। বরং গোটা বিশ্বই যেন তাঁদের মুঠোবন্দী থাকবে। ড্রিমলাইনারে বসে ওয়াই-ফাই সুবিধা পাওয়া যাবে।

এটি যুক্ত হওয়ার মধ্যদিয়ে বিমান বহরে বিমানের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ১৫টিতে। দেশে পৌঁছানোর পর ড্রিমলাইনারকে ওয়াটার ক্যানন স্যালুটের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়।

বিমানটি দেশে আনতে গত বুধবার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল (অব.) ইনামুল বারীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সিয়াটলে বোয়িং কোম্পানির এভারেট ডেলিভারি ও অপারেশন্স সেন্টারে যান।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য দুই দশমিক এক বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে। এরইমধ্যে চারটি নতুন বোয়িং৭৭৭-৩০০ ইআর ও দুটি নতুন বোয়িং৭৩৭-৮০০ বিমান বহরে যুক্ত হয়েছে।

বাকি চারটি বিমান-ই বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি আজ দেশে আসলো, দ্বিতীয়টি এ বছর নভেম্বর এবং সর্বশেষ দুটি ড্রিমলাইনার বিমান বহরে যুক্ত হবে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হতে যাওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এগুলো হলো-আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।

আগামী ১ সেপ্টেম্বর ড্রীমলাইনারের প্রথম ফ্লাইট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন রাতে ঢাকা থেকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর যাবে বিমানটি। ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রাথমিকভাবে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ঢাকা-কুয়ালালামপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।

বিলাসবহুল এ বিমামটিতে আসন সংখ্যা থাকছে ২৭১টি। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা ইন্টারনেট ও ফোনকল করার সুবিধা পাবেন।

আজকের বাজার/এমএইচ