বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে জাপান ও রাশিয়ার বাগযুদ্ধ

Japanese Prime Minister Shinzo Abe and Russian President Vladimir Putin attend a meeting on the sidelines of the ASEAN-Russia Summit in Singapore, November 14, 2018. Sputnik/Alexei Druzhinin/Kremlin via REUTERS ATTENTION EDITORS - THIS IMAGE WAS PROVIDED BY A THIRD PARTY.

জাপান ও রাশিয়ার নেতৃবৃন্দের বৈঠকে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বাগবিতন্ডা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে মস্কো ও টোকিওর মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
রাশিয়া ক্ষুব্ধভাবে জাপানের বিরুদ্ধে এই শীর্ষ বৈঠককে সামনে রেখে উত্তেজনা বাড়ানো ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজয় মেনে না নেয়ার অভিযোগ করেছে।
খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।
পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকোভ বলেছিলেন, বৈঠকটি ‘সহজ হবে না।’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষের সময় রুশ সেনাবাহিনী চারটি দ্বীপের মালিকানা দাবি করেছিল। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব নিয়ে এই বিরোধ দুদেশের মধ্যে শান্তি চুক্তিরও অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উভয় দেশ এই সংকট সমাধানের অঙ্গীকার করে। এ প্রেক্ষিতে দুদেশের পরররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বৈঠকে বসে।
জাপানের উত্তরপ্রান্তের হোক্কাইদো দ্বীপপুঞ্জের উত্তর উপকূলের অদূরে অবস্থিত ওই দ্বীপগুলো রাশিয়ায় দক্ষিণাঞ্চলীয় কুরিলস নামে পরিচিত। জাপানে এগুলো উত্তরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত।
এদিকে নববর্ষের ভাষণে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে যে মন্তব্য করেছেন তাতে মস্কো ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ হয়।
তিনি বলেন, বিরোধপূর্ণ দ্বীপগুলোতে রুশ বাসিন্দাদের মেনে নেয়া উচিত যে তাদের সার্বভৌমত্ব পরিবর্তিত হচ্ছে।
তার এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ রাশিয়া দেশটির জাপানি রাষ্ট্রদূতকে ডেকে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে কয়েকঘন্টাব্যাপী সোমবারের বৈঠকটি পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারো কোনো এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরোভ পরস্পরের উপর এতোটাই ক্ষুব্ধ ছিলেন যে তারা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনও করতে পারেন নি।