বিশ্বজিৎ হত্যায় ২ জনের ফাঁসি বহাল: খালাস ৪

বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দেওয়া ৮ জনের মধ্যে ২ জনের ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে উচ্চ আদালত। এছাড়া মোট ২১ জন আসামির মধ্যে ৪ জনের যাবজ্জীবন এবং ৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ আগষ্ট রোববার এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট শাহ আলম।

গত ১৭ জুলাই বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজ রোববার (৬ আগস্ট) দিন ধার্য করে আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর সকালে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ২০১৩ সালের ৫ মার্চ এই মামলায় ছাত্রলীগের ২১ কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার রায় দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। ২১ আসামির মধ্যে ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- রফিকুল ইসলাম শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক এমদাদ, জি এম রাশেদুজ্জামান শাওন, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিঞা টিপু, রাজন তালুকদার এবং মীর মো. নূরে আলম লিমন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলো- এএইচএম কিবরিয়া, ইউনুস আলী, তারিক বিন জোহর তমাল, গোলাম মোস্তফা, আলাউদ্দিন, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, মনিরুল হক পাভেল, মোশাররফ হোসেন ও কামরুল হাসান। তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুইজন ও যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১১ জন পলাতক রয়েছেন। বাকি ৮ জন কারাগারে আছে। আসামিদের সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত হয়। এরপর ১৬ মে বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শুরু হয়।

আজকের বাজার: এলকে/এলকে ০৬ আগস্ট ২০১৬