বিশ্বে সপ্তম বারের মতো সুখী দেশ ফিনল্যান্ড

টানা সাত বছর ধরে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় রয়েছে ফিনল্যান্ডের নাম।
আর তালিকায় একেবারে নিচের দিকে রয়েছে আফগানিস্তান।
জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় বুধবার প্রকাশিত হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট-২০২৪।’
আন্তর্জাতিক সুখ দিবসের প্রাক্কালে প্রতিবছর সুখী দেশের এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। প্রকাশ করা হয়েছে ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট ২০২৪।’
বিশ্বের সুখী দেশ নিয়ে বার্ষিক এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় ১৪৩টি দেশকে।
এ বছরের তালিকায় যথারীতি ওপরের দিকে রয়েছে নরডিক অঞ্চলের দেশগুলো। প্রথম পাঁচটি সুখী দেশের মধ্যে রয়েছে এ অঞ্চলের আরও তিনটি দেশ ডেনমার্ক, আইসল্যান্ড ও সুইডেন। এসব দেশের অবস্থান যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ। এছাড়া সুখী দেশ হিসেবে পাঁচ নম্বরে রয়েছে ইসরায়েলের নাম।
নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, লুক্সেমবার্গ, সুইজারল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার অবস্থান তালিকার যথাক্রমে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম ও দশম স্থানে।
এক দশকেরও আগে থেকে সুখী দেশ নিয়ে এমন তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্বের অন্যতম ধনী ও সমৃদ্ধ দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং জার্মানি প্রথম ২০টি সুখী দেশের তালিকায় স্থান পায়নি। এ বছর দেশ দু’টির অবস্থান যথাক্রমে ২৩তম ও ২৪তম।
বিপরীতে, প্রথম ২০টি দেশের তালিকায় জায়গা করে নিল কোস্টারিকা (১২তম) ও কুয়েত (১৩তম)।
আফগানিস্তান তালিকার সর্বনি¤েœ রয়েছে। দেশটিতে ২০২০ সালে পশ্চিমা সমর্থিত আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে দেশটির শাসন ক্ষমতায় আসে তালেবান। এর পর থেকেই আফগানিস্তান নজিরবিহীন মানবিক সংকটে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এ তালিকা করার ক্ষেত্রে মানুষের সুখের নিজস্ব মূল্যায়ন, সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে শূন্য থেকে ১০ সূচকে নম্বর পরিমাপ করা হয়। পাশাপাশি প্রতিটি দেশের মানুষের ব্যক্তিগত সুস্থতার অনুভূতি, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, উদারতা, জিডিপি ও দুর্নীতির মাত্রা বিবেচনায় নেওয়া হয়।
চলতি বছরের রিপোর্টে দেখা গেছে বিশ্বের অধিকাংশ জায়গায় বয়স্কদের তুলনায় তরুণরা বেশি সুখী। তবে সব অঞ্চলে নয়।
উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ৩০ বছরের নিচের বয়সীদের সুখের মাত্রা নাটকীয়ভাবে নিচে নেমে গেছে। সে তুলনায় বয়স্করা এসব দেশে বেশি সুখী। (বাসস ডেস্ক)