বেডরুমে থাকলে আমি মারা যেতাম: ঢাবি উপাচার্য

আমাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালানো হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, আমার সঙ্গে কোটার কোনো সংযোগ নেই। তারপরও আমার ওপর হামলা করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল পৌনে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, আমি উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের কোটার বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার ব্যবস্থা করেছি। শিক্ষার্থীদের বক্তব্য তাদের জানানো হয়েছে। এরপরও আমার বাসায় তাণ্ডব পরিচালিত হয়েছে। এটি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

তিনি বলেন, সেখানে আমার পরিবার ছিল। তাদের জীবন ঝুঁকিতে ছিল। সবাইকে মেরে ফেলার চেষ্টা ছিল। কিছু ছাত্র আমার প্রাণ রক্ষা করেছে। এখানে লাশের রাজনীতি ছিল। এখানে আমাকে হত্যার পরিকল্পনা থেকে এ হামলা করা হয়েছে।

মো. আখতারুজ্জামান বলেন, হামলার ঘটনায় অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারত। আন্দোলনরত ব্যক্তিরা ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট চেষ্টার মাধ্যমে দরজা ভেঙেছে। আমি নিজের নিরাপত্তার কথা ভুলে শিক্ষার্থীদের অবস্থা দেখার জন্য বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছিলাম। এ জন্য বেঁচে গেছি। বেডরুমে থাকলে আমি মারা যেতাম।

এখন হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, আইন নিজের গতিতে চলবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ, গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতর তছনছ এবং ব্যাপক ভাঙচুর করে।

বিপুলসংখ্যক পুলিশ নীলক্ষেতের দিক দিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতর প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। সে সময় কলাভবন ও মলচত্বর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এস/