ব্রাজিলের বিদায়ের সাথে তিতেও বিদায় বললেন

ব্রাজিলের কোচের পদ থেকে সড়ে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিতে। গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে পেনাল্টিতে পরাজিত হয়ে ব্রাজিলের বিদায়ের পর কোচের পদও ছেড়ে দিলেন তিতে।
৬১ বছর বয়সী তিতে ২০১৬ সালে ব্রাজিল দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। কাতারে আসার আগেই অবশ্য দলের ফলাফল যাই হোক না কেন কোচের দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষনা দিয়ে রেখেছিলেন তিতে। কাল দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ব্রাজিলের হতাশাজনক বিদায়ের পর সেই সিদ্ধান্তে অটল তিতে বললেন, ‘এই ধরনের পরাজয় সত্যিই হতাশার। কিন্তু আমি শান্তির সাথেই বিদায় নিচ্ছি। আমার সময় শেষ হয়ে গিয়েছে। দেড় বছর আগেই আমি এই ঘোষনা দিয়েছিলাম। এখানে জেতার পর নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের কোন ইচ্ছা আমার ছিলনা। যারা আমাকে চিনে তারা সবাই আমার এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জানে।’
৯০ মিনিট গোলশুন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ের মাঝামাঝিতে নেইমারের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এরপর ১১৭ মিনিটে ব্রুনো পেটকোভিচের গোলে ক্রোয়েশিয়া সমতা ফেরায়। এরপর পেনাল্টিতে রডরিগোর প্রথম শটটি রুখে দেন ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচ সেরা গোলরক্ষক ডোমিনিক লিভাকোভিচ। ক্রোয়েশিয়া তাদের চারটি পেনাল্টি শটই গোলে পরিনত করেন। বিপরীতে মারকুইনগোসের শট পোস্টে লেগে ফেরত এলে ব্রাজিলের বিদায় নিশ্চিত হয়।
চার বছর আগে বেলজিয়ামের কাছে পরাজিত হয়ে তিতের অধীনে ব্রাজিল এই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এর মাঝে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে কোপা আমেরিকা জয়ের পর গত বছর আর্জেন্টিনার কাছে শিরোা হারায়। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন আগেই জানিয়েছিল জানুয়ারির আগ পর্যন্ত তারা নতুন কোন কোচকে দায়িত্ব দিবে না। নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে পর্যালোচনা করতে বললে তিতে বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে আমি যতটুকু সম্ভব ভাল কিছু করার চেষ্টা করেছি। এই মুহূর্তে সবকিছু পর্যালোচনা করার পর্যায়ে আমি নেই। কিন্তু সময় যত যাবে আমার কাজের মূল্যায়ন ঠিকই হবে। বিদায় বেলায় এভাবে বলাটা কঠিন।’
মারকুইনহোসের জায়গায় চতুর্থ পেনাল্টি নিতে নেইমার কেন যাননি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিতে বলেন, ‘কারন তার শেষ শটটি নেবার কথা ছিল। সবচেয়ে চাপের সময় দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের উপর সব চাপ থাকে।’
এনিয়ে বিশ^কাপে দ্বিতীয়বারের মত পেনাল্টি শ্যুট আউটে ব্রাজিল পরাজিত হলো। এর আগে ১৯৮৬ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে পরাজিত হয়ে তাদের বিদায় নিতে হয়েছিল।